এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলায় কি বিধানসভা নির্বাচনের আগেই লাগু হবে CAA? জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন খোদ কৈলাশ বিজয়বর্গীয়!

বাংলায় কি বিধানসভা নির্বাচনের আগেই লাগু হবে CAA? জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন খোদ কৈলাশ বিজয়বর্গীয়!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূল যতই দাবি করুক নাগরিকত্ব দেওয়ার নামে কেন্দ্রীয় সরকার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে বা বিজেপি প্রায় মিথ্যার উপরই দাঁড়িয়ে রয়েছে, অথবা ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করে তারা মানুষকে হাত করার চেষ্টা করছে, বস্তুত নাগরিকত্ব বিল নিয়ে এবার বড়োসড়ো পদক্ষেপ নিতে বিজেপি যে আর দেরি করবে না সে কথাই মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বস্তুত, নাগরিকত্ব বিল হয়ে গেলেও এখনও যে তা কার্যকর হয়নি, সেটা প্রায় সকলেই জানেন।

আর যা নিয়ে বিজেপির অন্দরে যে অনেকেই অসন্তুষ্ট সেকথাও জানেন অনেকেই। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলির বিজেপি নেতারা এ নিয়ে দলের অন্দরে একাধিকবার কথা বলেছেন বলেও জানা গেছে। শুধু তাই নয়, অন্যদিকে হিন্দু উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়া যে বাংলায় বিজেপির ভোট প্রচারের অন্যতম বড় হাতিয়ার, সে কথা আলাদা করে বলে দিতে হয় না।

কিন্তু লোকসভা ভোট চলে গিয়ে বিধানসভা ভোট আসলেও কেন্দ্রীয় সরকার এখনো পর্যন্ত একজন উদ্বাস্তুকেও ভারতবর্ষের নাগরিকত্ব দিতে পারেনি বলে জানা যায়। আর এরই মধ্যে গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্যে আগমনকে ঘিরে জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যের বিজেপি পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর কথায় বাংলায় বিধানসভা ভোটের আগে নাগরিকত্ব বিল লাগু করা নিয়ে জোর কাজ হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু কিছুদিন আগেই নাগরিকত্ব আইন কেন কার্যকর হচ্ছে না সে বিষয়ে অমিত শাহকে চিঠি লিখতে দেখা গিয়েছিল বনগাঁর বিজেপি সাংসদকে। আর অমিত শাহের কমিটিতে যে সেই বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে তাও জানা গেছে।বস্তুত উদ্বাস্তু অধ্যুষিত এলাকায় ভোটের জন্যই এটা হাতিয়ার বলে জানা যায়।

সেইসঙ্গে উদ্বাস্তু অঞ্চলে বিজেপি নেতাদের আইনি সমস্যা এবং প্রশাসনিক জটিলতা সাধারণ মানুষ জানতে চাইবেন না সেটাও বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে বলেও জানা যায়। এবং বিধানসভা ভোটে উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়া না হলে তার প্রভাব যে বিধানসভা ভোটে পড়বে সেটা ভালোমতোই জানে বিজেপি দল। তাই লোকসভা ভোটের প্রচারের হাতিয়ার বিধানসভা নির্বাচনের আগে কার্যকরী করতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি।

এমন পরিস্থিতিতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের মতে, বিজেপি সরকার সততার সঙ্গে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট (CAA) পাশ করিয়েছে। কারণ তাদের উদ্দেশ্য উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়া। কিন্তু কোর্টে বেশ কিছু পিটিশন রয়েছে সিএএ-র বিরুদ্ধে। সেইসঙ্গে করোনা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও আশা জানিয়েছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই এ বিষয়ে কাজ এগোনোর চেষ্টা চালান হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!