তৃণমূলে বড় পদ পেতেই এবার পুরোনো মামলায় ঘন্টার পর ঘন্টা NIA-এর জেরার মুখে ছত্রধর মাহাতো! তৃণমূল পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজনীতি রাজ্য August 29, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একটা সময় জঙ্গলমহলের মুকুটহীন রাজা বলা হতো ছত্রধর মাহাতোকে। জঙ্গলের জঙ্গলমহলের সমস্ত রাস যে তার হাতেই ছিল। জঙ্গল মহল থরহরি কম্পমান হতো এই মাওবাদী নেতার প্রবল দাপটে। এরপর গত ২০০৯ সালে জঙ্গলমহলে জনৈক সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতো কে হত্যা ও ভুবনেশ্বর- দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস দিল্লি এক্সপ্রেস অপহরণের মতো দুটি ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশের সন্দেহের তীর গিয়ে পরে জঙ্গলমহলের মাওবাদী নেতা ছত্রধর মাহাতোর দিকে। তার উপরে এসময়ে তিনি জঙ্গলমহলে পুলিশর সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণ কমিটি তৈরি করেছিলেন। তাই শেষপর্যন্ত এই নেতাকে গ্রেপ্তারের জন্য মরিয়া হয় পুলিশ। বহুদিন লুক্কায়িত থাকার পর অবশেষে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তারপর দীর্ঘ কারাবাসের পালা সাঙ্গ করে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জঙ্গলমহলে ফিরলেন মাও নেতা ছত্রধর মাহাতো। এদিকে জঙ্গলমহলে নিজেদের খুঁটি শক্ত করতে ব্যস্ত শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের কাছে একটা বিরাট সুযোগ চলে এলো ।র জঙ্গলমহলের নিজেদের রাজনৈতিক ভিত্তিকে সুদৃঢ় করতে মাওবাদী এই নেতাকে টানা হলো তৃণমূল দলে। তাঁর জনপ্রিয়তাকে তৃণমূল দলের বিস্তারের কাজে কাজে লাগাতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ছাত্রধর মাহাতোকে স্থান দেওয়া হলো তৃণমূলের রাজ্য কমিটির অন্দরে। এজন্য আনা হলো বেশকিছু সাংগঠিক রদবদল। কিন্তু এদিকে আবার সিঁদুরে মেঘের মতো, জঙ্গলমহলের সিপিএম নেতার হত্যা সেইসঙ্গে ট্রেন হাইজ্যাকের ঘটনার তদন্তও শুরু হয়ে গেছে। এই বিষয়ে তদন্ত করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ নিয়োজিত। এরপর তদন্তে জেরার জন্য ছত্রধর মাহাতোকে কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকরি সংস্থার পক্ষ থেকে। কিন্তু লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে কলকাতায় যেতে নিজের অক্ষমতার কথা তিনি জানালে, তাকে কলকাতার পরিবর্তে মেদিনীপুরেই জিজ্ঞাসাবাদ চালাবার প্রস্তুতি নেয়া হয় এই সংস্থার পক্ষ থেকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - গতকাল শুক্রবার শালবনির কোবরা ক্যাম্পে প্রথম তাঁকে হত্যাকান্ড ও ট্রেন অপহরণের বিষয় সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো এই সংস্থার পক্ষ থেকে। গতকাল তদন্ত অফিসাররা টানা চার ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চালান। আজ শনিবার আবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এই কোবরা ক্যাম্পে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ জানানো হয়েছে। আজ বেলা ১১ টায় তিনি শালবনি ক্যাম্পে উপস্থিত হয়েছেন।শুরু হয়েছে তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। একটা সময় যিনি মাওবাদী ছিলেন, সম্প্রতি যিনি শাসকদলের রাজ্য কমিটির অন্যতম সম্পাদক তাকে অকস্মাৎ এই এনআইএর জিজ্ঞাসাবাদের কারণ কি? হঠাৎ করে ১১ বছরের পুরানো মামলায় হঠাৎ করে কেন এতো তাৎপরতা গোয়েন্দাদের? এর উত্তরে তিনি জানান, এর মধ্যে তিনি রাজনৈতিক চক্রান্তর ছায়া দেখতে পাচ্ছেন, তৃণমূল দলের মধ্যে বিশেষ দায়িত্ব লাভের জন্যেই তিনি কেন্দ্রের বিষনজরে পড়েছেন। তাঁর উপরে রাজনৈতিক চাপ আনতেই কেন্দ্রের এই তাৎপরতা, এমনটাই তাঁর অভিযোগ। আপনার মতামত জানান -