এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ‘দিদিকে বল’ সুপার হিট বলে প্রচারে নামল তৃণমূল কংগ্রেস – জেনে নিন পরিসংখ্যান

‘দিদিকে বল’ সুপার হিট বলে প্রচারে নামল তৃণমূল কংগ্রেস – জেনে নিন পরিসংখ্যান

2019 এ লোকসভার ভোটে হারানো জমি ফিরে পেতে এবং 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশান্ত কিশোরের প্ল্যান অনুযায়ী তৃণমূল কংগ্রেস শুরু করেছে ‘দিদিকে বল’ জনসংযোগ কর্মসূচি। একটি ফোন নাম্বার দিয়ে এই ‘দিদিকে বল’ কর্মসূচির সূচনা হয়। বলা হয় রাজ্যের জনগণ এই ফোন নাম্বারের মাধ্যমে তাদের সমস্ত অভাব অনুযোগ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে পারবেন। এর সাথে রাজ্যের মন্ত্রী বিধায়ক থেকে শুরু করে সাংসদ পর্যন্ত প্রায় সবাই পথে নেমেছেন রাজ্যের জনগণের সাথে জনসংযোগ করার জন্য।

এবার মুখ্যমন্ত্রী নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘দিদিকে বল’ কর্মসূচীর ‘রিপোর্ট কার্ড’ পেশ করলেন। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেন গত এক মাসে প্রায় 10 লক্ষের বেশি মানুষ এই কর্মসূচিতে সাড়া দিয়েছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে বলেছেন, ‘রাজ্যের মানুষ দিদিকে বল তে যে ভাবে সাড়া দিয়েছেন তাতে আমি অভিভূত। গত এক মাসে 10 লক্ষ মানুষ আমাদের কাছে পৌঁছেছেন তাদের মূল্যবান পরামর্শ আর অভিযোগ নিয়ে। কেউ কেউ প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।’

গত 29 শে জুলাই নজরুল মঞ্চে দাঁড়িয়ে ‘দিদিকে বল’ কর্মসূচির সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত 2021 এর বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখেই এই কর্মসূচির সূচনা। মুখ্যমন্ত্রী তার জনপ্রতিনিধিদের এই জনসংযোগের জন্য সময় দিয়েছিলেন 100 দিন। বলা হচ্ছে প্রথম 24 ঘণ্টাতেই ‘দিদিকে বল’ তে যোগাযোগ করেছিলেন প্রায় এক লক্ষ মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী দপ্তর থেকে দাবি করা হয়, যেকটি সমস্যা ‘দিদিকে বল’ ফোন নাম্বার এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এসেছে তার সমস্ত গুলোই সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূলের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যাচ্ছে ফোনে কথা বলেছেন 8 লক্ষ 635 জন এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এসেছেন 1 লক্ষ 99 হাজার 715 জন। বলা হচ্ছে মোট যোগাযোগের 42% এসেছে অভিযোগ আর পরামর্শ এসেছে 32% এবং অভিনন্দন বার্তা এসেছে 22%। অন্যান্য সমস্যা নিয়ে এসেছেন বাকি 4% মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী আজ তার টুইটার হ্যান্ডেলে এই পরিসংখ্যানটি নিজেই পোস্ট করেছেন। প্রত্যেককে ধন্যবাদের সাথে তিনি বলেন ‘আমরা প্রত্যেকের মূল্যবান পরামর্শ গ্রহণ করেছি। অভিযোগ নথিবদ্ধ করেছি। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের সবকটি অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের জনসংযোগের পাশাপাশি ছিল গ্রামে গিয়ে যে কোন কর্মীর বাড়িতে খাওয়া এবং থাকার কর্মসূচি। তবে এই জনসংযোগের কর্মসূচি সব জায়গায় খুব সরল ছিল না। অনেক জায়গাতেই জনপ্রতিনিধিরা গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন। তবে তৃণমূল দলের দাবি, এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের 500 জন নেতা এক হাজারেরও বেশি গ্রামে গিয়ে জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করেছেন। যার প্রভাব 2021 এর বিধানসভা ভোটে অবশ্যই পড়বে।

এদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন তৃণমূল তাদের লাগাতার যে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে চলেছে তার ফলে তাদের হারিয়ে যাওয়া জমি অনেকটাই পুনরুদ্ধার হয়েছে। এদিকে বিরোধীদলগুলিও 2021 এর বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে সমানে একের পর এক রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে চলেছে। শেষ পর্যন্ত জনগণের মন কে যেতে সেটাই দেখার। তবে যাই হোক আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ‘দিদিকে বলো’কে যে তৃণমূল অন্যতম প্রধান অস্ত্র করতে চলেছে – তা প্রতিটি পদক্ষেপেই প্রমান করে দিচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!