এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুজোতে নেতৃত্ত্বের দেওয়া কঠিন কাজ কতটা করতে পারলেন বিজেপি-কর্মীরা – এবার তারই কাটাছেঁড়া

পুজোতে নেতৃত্ত্বের দেওয়া কঠিন কাজ কতটা করতে পারলেন বিজেপি-কর্মীরা – এবার তারই কাটাছেঁড়া

পুজোর সময় যখন উৎসবের আনন্দে ব্যস্ত ছিল বঙ্গবাসী – ঠিক তখনই উৎসব থেকে নিজেদের ‘প্রায়’ ব্রাত্য রেখে দলের শীর্ষনেতৃত্বের নির্দেশমত লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। প্রসঙ্গত, আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলাকেই পাখির চোখ করেছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা। তৃণমূলের মত বড়সড় প্রতিপক্ষকে রুখে দিয়ে রাজ্য থেকে অন্তত ২২ টি লোকসভা আসন জিততে চান গেরুয়া শিবিরের নেতারা।

আর তাই রাজ্যে এসে বারে বারে সকলকে বুঝিয়ে দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ – যাই হয়ে যাক, বাংলায় লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে ‘টার্গেট’ থেকে পিছিয়ে আসার কোন জায়গা নেই। আর তা করতে গেলে আগে মজবুত করতে হবে – ‘বুথ কমিটি’, সুতরাং সব ভুলে রাজ্য নেতৃত্ত্বকে দিয়ে গিয়েছেন বড়সড় ‘টাস্ক’। দুর্গাপূজা মিটলেই ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন – যা নিয়ে আপাতত ব্যস্ত গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্ব।

ফলে, বাংলার নেতারা আরেকটু বাড়তি সময় পাচ্ছেন ঘাটতি পূরণে। কিন্তু, ওই নির্বাচনের কাজ মিটলেই – শুরু হয়ে যাবে বাংলা নিয়ে কাটাছেঁড়া। কোন নেতা পুজোতে কি করেছেন, আর কোন কর্মী পুজোতে পরিবার-পরিজন ভুলে জনসংযোগে ঝড় তুলেছেন – সবই নাকি আসতে চলেছে স্ক্যানারের তলায়। কেননা, বাংলায় ২২ আসন জিততে গেলে সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে হবে – এমনই নাকি বার্তা পৌঁছেছে দিল্লিতে। যা নিয়ে – বঙ্গ-বিজেপির দুই হেভিওয়েট নেতার তুমুল তর্ক-বিতর্ক হয়েছিল স্বয়ং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্বের সামনে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সূত্রের খবর, ফলে এক ঢিলে দুই পাখি মারার মত – দুর্গাপূজাতেই সাংগঠনিক চিত্রের স্পষ্ট চিত্র পেতে কঠিন ‘টাস্ক’ দেন অমিত শাহ। পূজার সময় – রাজ্যের প্রতিটি বুথের দলীয় কর্মীদের এলাকায় অন্তত ৪০০ টি বাড়িতে জনসংযোগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি, প্রত্যেকের মোবাইলে নমো অ্যাপ ডাউনলোড করিয়ে দেওয়ার দায়িত্ত্বও দেওয়া হয়েছিল। তবে শুধু এই অ্যাপ ডাউনলোডই নয়, কেন্দ্রের মোদি সরকারের সমস্ত উন্নয়নমূলক প্রকল্পের প্রচার এবং জনসাধারনের কাজে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ঠিক কী কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে – তাও বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসমক্ষে তুলে ধরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

অন্যদিকে নমো অ্যাপ ডাউনলোড যেহেতু সকলে করতে পারে না, তাই সেই ব্যাপারে দলীয় কর্মীদের প্রশিক্ষন দিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্বের তরফে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পাশাপাশি, প্রথমে একজন বুথ সভাপতি এবং একজন বুথ সম্পাদক সহ মোট ১২ জনের বুথ কমিটি গঠনের কথা বলা হলেও পরে তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্বের তরফে। বর্তমান রাজ্য-নেতৃত্ত্বের দাবি ছিল, এখনও পর্যন্ত মাত্র ২০% শক্তিকেন্দ্র এবং ৩০% বুথ কমিটি তৈরির কাজ বাকি রয়েছে। যা নাকি আগামী ৩১ শে অক্টোবরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আর তাই, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্ব পুজোর মরশুমেই এই জনসংযোগ নীতি ও নমো অ্যাপ ডাউনলোডের মাধ্যমে বাস্তব চিত্রটির স্পষ্ট আভাস পেয়ে যাবেন। প্রথমত, রাজ্য নেতৃত্ত্বের তরফে বুথ-কমিটি নিয়ে যে দাবি করা হয়েছে তা কতটা বাস্তবসম্মত এবং দ্বিতীয়ত, সেই বুথ কমিটি কতটা ‘কাগুজে’ আর কতটাই বা ‘ফিল্ডে নেমে’ কাজ করার জন্য প্রস্তুত। আর যেহেতু পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন মিটলেই বাংলার সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজন আছে কিনা তা বিবেচনাধীন হবে – ফলে গেরুয়া শিবিরের কঠিন ‘টাস্কের’ কাটাছেঁড়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!