এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুকে ৭ দিনের চরম সময়সীমা? নাহলেই চরমতম পদক্ষেপ? দীপাবলির আবহে তীব্র জল্পনা রাজ্য জুড়ে

শুভেন্দুকে ৭ দিনের চরম সময়সীমা? নাহলেই চরমতম পদক্ষেপ? দীপাবলির আবহে তীব্র জল্পনা রাজ্য জুড়ে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এমনিতেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তৃণমূলের অস্বস্তি দিনকে দিন বাড়ছে। যদি শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলত্যাগের মত সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তা যে শাসক দলের কাছে সবথেকে বড় অস্বস্তির কারণ হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেননা প্রায় সকলেই স্বীকার করে নেন যে, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পর যদি তৃণমূল কংগ্রেস জনপ্রিয় কেউ থেকে থাকে, তাহলে তার নাম শুভেন্দু অধিকারী।

তাই সেই শুভেন্দু অধিকারী দল এবং সরকারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে নিজের মতো করে পথ চলতে শুরু করেছেন। তিনি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাবেন, নাকি কোনো মঞ্চে গঠন করবেন, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে তার রাজনৈতিক আচার আচরণ নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। আর এর মাঝেই শুভেন্দু অধিকারীর মানভঞ্জন করার বদলে তাকে সাতদিনের সময়সীমা দিয়ে বসলেন তার বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা রামনগরে তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি।

এদিন রামনগরে একটি পুজোর উদ্বোধন করতে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে নানা ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য দিতে দেখা যায় তাকে। আর এরপরই সেই শুভেন্দু অধিকারীকে সাত দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি। তিনি বলেন, “দলীয় পতাকা ছাড়া এমন চলতে পারে না। তৃণমূলের তরফে শুভেন্দু অধিকারীকে সাত দিন আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। উনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট না করলে দলের তরফে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কেউ দলের ঊর্ধ্বে নয়।”

অখিলবাবু আরও বলেন, “শুভেন্দু ওইদিন সভা করবেন বলে শুনেছি। স্থানীয় বিধায়ক হিসেবে এই সভার আয়োজকদের বলেছিলাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগাতে। কিন্তু তারা জানিয়েছেন, মঞ্চে মমতার ছবি দেওয়া হবে না। এভাবে চলতে পারে না।” স্বভাবতই শুভেন্দু অধিকারী যখন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা, তখন তার আচার-আচরণ নিয়ে জল্পনা চলার সময় হঠাৎ করেই তার বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে অখিল গিরির এই মন্তব্য কার্যত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেভাবে অখিলবাবু শুভেন্দু অধিকারীকে কার্যত সময়সীমা বেঁধে দিলেন, তাতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। তবে অখিল গিরির এই বার্তাকে কেন্দ্র করে অনেকেই ক্ষুব্ধ হতে শুরু করেছেন। তৃণমূলের একাংশের বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারী এখনও দলে রয়েছেন। তিনি এখনও রাজ্যের মন্ত্রী। ফলে তার সঙ্গে দলের যে বিবাদই থাকুক না কেন, তা মীমাংসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু সেই জায়গায় কেন অখিল গিরি এই ধরনের মন্তব্য করবেন!

একাংশের মতে, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের উচিত অখিল গিরির মত বিধায়কের মুখে লাগাম টানা। কেননা শুভেন্দু অধিকারীর সাংগঠনিক ক্ষমতা সকলেই জানেন। সেক্ষেত্রে তিনি যদি দলত্যাগ করেন, তাহলে তার পথে হেটে অনেকেই সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি এরকম ঘটনা ঘটে, তাহলে তৃণমূলের যে ব্যাপক অস্বস্তি বৃদ্ধি পাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তাই এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দুবাবুকে নিয়ে জল্পনার মাঝেই তার মানভঞ্জন অপেক্ষা যেভাবে দলের এক বিধায়ক তার বিরুদ্ধে সময়সীমা বেঁধে দিচ্ছেন, তা দুর্ভাগ্যজনক বলেই দাবি করছেন শুভেন্দুবাবুর অনুগামীরা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা রাজনীতিতে অধিকারী পরিবারের সঙ্গে অখিল গিরির ব্যাপক দ্বন্দ্ব রয়েছে। বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারী যখন অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগদান করছেন, তখন দলের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আরও বেশি করে তাকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন অখিল গিরি।

কিন্তু এর ফলে সেই তৃণমূল বিধায়কের নানা মন্তব্যে শুভেন্দু অধিকারী এবং তার অনুগামীরা আরও বেশি করে ক্ষিপ্ত হতে শুরু করেছেন। তা হয়ত অনেকেই আচ করতে পারছেন। কিন্তু অখিলবাবু তাতে কান না দিয়ে বিভিন্ন সময় শুভেন্দুবাবুর আচার আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। আর এবার তাকে সাতদিনের সময়সীমা বেঁধে যাওয়ার মত বক্তব্য পেশ করতে দেখা গেল এই তৃণমূল বিধায়ককে। সব মিলিয়ে এবার গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, অখিল গিরির এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!