মুকুল প্রভাব আটকাতে এবার আসরে শাসকদলের নদীয়া জেলা সভাপতি বিশেষ খবর রাজ্য December 4, 2017 সদ্য ফিরে পেয়েছেন তাঁর ‘রাজ্যপাট’ আর তাই প্রথম সুযোগেই দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশে কুন্ঠা করলেন না নদীয়া জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ও তেহট্টের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত। দায়িত্ত্ব ফিরে পেয়েই প্রথম সভা করলেন কাঁচরাপাড়া সংলগ্ন নদীয়ার রথতলা এলাকায় এবং চড়া সুরে করলেন মুকুল বিরোধিতা। কিন্তু এতো জায়গা থাকতে হঠাৎ এখানেই সভা কেন? তার উত্তরও দিলেন সভামঞ্চ থেকে বক্তৃতার মাধ্যমেই। এদিনের জনসভা থেকে গৌরীশঙ্কর বাবু জানান, কাঁচরাপাড়ায় সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়ের বাড়ি। এই এলাকায় যেন তৃণমূলের কোনও ক্ষতি বিজেপি করতে না পারে তাঁর জন্যই এ সভা। দুই জেলার সীমান্তবর্তী রথতলায় এক শ্রেণির মানুষ ছিদ্র খুজে চলেছেন। ঠিক যেমন, কালসাপ লখিন্দরের বাসর ঘরের ছিদ্র খুজেছিল। রথতলার ওই ছিদ্রান্বেষী সাপের মাথা থেতলে দেবে শহর তৃণমূলের সভাপতি অরূপ মুখোপাধ্যায় ও স্থানীয় কাউন্সিলর। মুকুল রায়ের চেয়ে বড় অসৎ চরিত্রের মানুষ ইদানীং চোখে পড়ে না। তাঁর বক্তব্য পেশের আগে সভার সুর বেঁধে দেন চাকদহের বিধায়ক রত্না ঘোষ। দলত্যাগী মুকুল রায়কে ‘দ্বিতীয় মিরজাফর’ আখ্যা দিয়ে বলেন, কাঁচরাপাড়ার এক ব্যক্তি তৃণমূলের সঙ্গ ছেড়ে দিেয় বিজেপির হাত ধরেছেন, সেই ব্যক্তি জঘন্য ও নোংরা। যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ত্ব এই সাভার শেষে দৃশ্যতই খুশি। তাঁদের বক্তব্য, এলাকার লোকজন অচিরেই তৃণমূলের সঙ্গ ছাড়বে, এই ভয় থেকে গৌরীশঙ্কর দত্ত এ দিন সভা করলেন। আপনার মতামত জানান -