এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > প্রয়াত হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক, শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে

প্রয়াত হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক, শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে

অনেকদিন ধরেই ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। অবশেষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ফালাকাটার তৃণমূল বিধায়ক অনিল অধিকারী‌। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকাল 10 টা 40 মিনিটে তাঁর হৃদস্পন্দন থেমে যায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল 70 বছর। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন অনিল অধিকারী। তবে গত শনিবারই তাঁকে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কিন্তু কোনভাবেই তাঁর অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না। আর বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এদিন তৃণমূল বিধায়কের মৃত্যুতে শোকের ছায়া ঘনিয়ে আসে গোটা রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, 1998 সালে তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অনিলবাবু। গত 2011 সালের পর 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে ফালাকাটা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হন তিনি। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ফালাকাটা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি পদের দায়িত্বও সামলেছেন অনিলবাবু।

এদিন তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার সাথে সাথেই তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গেছে, শুক্রবার সকালে এই প্রবীণ তৃণমূল বিধায়কের মরদেহ ফালাকাটায় তাঁর বাসভবনে এসে পৌছবে। আর তারপরেই স্থানীয় শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। এদিন দলের বিধায়কের মৃত্যুতে রীতিমতো শোক প্রকাশ করতে দেখা যায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদেরই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, “অনিলবাবুর মৃত্যুতে দলগত এবং ব্যক্তিগতভাবে আমার অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। অত্যন্ত ভালো মানুষ ও সংগঠক ছিলেন। অনিলবাবুকে ফালাকাটার উন্নয়নের রূপকার বলা হয়। আর এটা যে কোনো অতিরঞ্জিত কথা নয়, তা এলাকার বিরোধীরাও একবাক্যে মানেন।” এদিকে এই প্রসঙ্গে জেলা সিপিএমের সম্পাদক মৃণাল কান্তি রায় বলেন, “যেকোনো মৃত্যুই দুঃখজনক। তবে এটা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে, অনিলবাবু ফালাকাটার উন্নয়নে অনেক কাজ করে গিয়েছেন।”

একইভাবে প্রবীণ এই তৃণমূল বিধায়কের মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করতে দেখা গেছে কংগ্রেসকে ও বিজেপিকেও। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি গজেন বর্মণ বলেন, “আজকের দিনে অনিলবাবুর মত মানুষ বিরল। উন্নয়নের কাজে তিনি কোনো দল দেখতেন না। তাঁর চলে যাওয়াতে জেলার মানুষের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।” এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, “অনিলবাবু খুব ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি সব দলের সম্পদ ছিলেন। ফালাকাটায় অনেক কাজ করেছেন।”

সব মিলিয়ে প্রবীণ তৃণমূল বিধায়ক তাঁর নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেও যেভাবে রাজনৈতিক মহল থেকে সামাজিক মহলে তিনি প্রশংসিত হচ্ছেন, তা সত্যিই তাঁর পরলোকগমনকে আরও কুসুমাকীর্ণ করে তুলবেন বলেই বিশ্বাস করেন সকলে। তাঁর মৃত্যুতে শাসকদলের বড় ক্ষতি হয়ে গেল বলেই মনে করছেন স্থানীয় মহল। অনিলবাবুর স্ত্রী আগেই প্রয়াত হয়েছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেলেন চার কন্যা ও এক পুত্রকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!