তৃণমূল বিজেপির হাতাহাতিতে জখম একাধিক, এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৃণমূল বিজেপি মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য March 22, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গরম যত বাড়ছে, ততই রাজ্য রাজনীতিতেও নির্বাচনী উত্তাপ বাড়ছে। বাংলার দরজায় কড়া নাড়ছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট। কিন্তু ভোটের আগেই যেভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক সংঘাতের খবর সামনে আসছে, তা নিয়ে কিন্তু যথেষ্ট চিন্তা বাড়ছে কমিশনের। ইতিমধ্যেই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একের পর এক বদল আনা হয়েছে। কখনো পুলিশ আধিকারিকদের বদলি করে, কখনো প্রশাসনিক আধিকারিকদের বদল করে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি কিন্তু খুব একটা বদলেছে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। কমিশনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক রাজনৈতিক সংঘাত হয়ে চলেছে। যেমন এদিন ভগবানপুরে দেখা গেল তৃণমূল এবং বিজেপির মুখোমুখি সংঘর্ষ। ভগবানপুর জুখিয়া বাজারে এদিন তৃণমূল এবং বিজেপির মিছিল ঘিরে সামনাসামনি লেগে যায় বিশাল গন্ডগোল। রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ভগবানপুরের জুখিয়া বাজার। প্রসঙ্গত, ভগবানপুরের বিজেপি প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মাইতি এবং তৃণমূল প্রার্থী হলেন অর্ধেন্দুশেখর মাইতি। অভিযোগ উঠেছে, রবীন্দ্রনাথ মাইতিকে মারধর করেছে এদিন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে অর্ধেন্দুশেখর মাইতির সমর্থনে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি বিশাল মিছিল বের হয়। ভগবানপুর বাজারের কাছে তৃণমূলের মিছিল যখন আসে, ঠিক সেসময় উল্টোদিক থেকে বিজেপির মিছিলও আসে। বিজেপির অভিযোগ যেমন একদিকে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা তাঁদের মিছিলে হামলা করেছে, তেমনি পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তাঁদের মিছিল লক্ষ্য করে ইঁট পাথর ছুড়তে শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে এলাকা রণাঙ্গনের চেহারা নেয়। জানা গেছে, প্রথমে শুরু হয় কথা কাটাকাটি দিয়ে এবং তারপরে যথারীতি হাতাহাতিতে পৌঁছে যায় দুই শিবির। দুই পক্ষেরই 4 জন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতেই পুলিশের কাছে খবর যায়। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী উপস্থিত হন ঘটনাস্থলে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু দু’পক্ষের সংঘর্ষ তাতেও থামেনা বরং সংঘর্ষকারীদের ছোঁড়া পাথরের আঘাতে জখম হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এরপরে লাঠি উঁচিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে পুলিশ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মাইতি জানিয়েছেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে এলাকায় মিছিল করছিলেন। কিন্তু জুখিয়া বাজারের কাছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অশান্তির সৃষ্টি করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে মারধর করে। একই সাথে রবীন্দ্রনাথ মাইতির দাবি, এদিন তৃণমূলের কোন মিছিলের অনুমতি ছিলনা এলাকায়। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মাইতির বক্তব্য পুরোপুরি অস্বীকার করে তৃণমূল প্রার্থী অর্ধেন্দুশেখর মাইতি। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি এটি। সুতরাং অনুমতি ছিলনা কথাটি পুরোপুরি মিথ্যা। পাশাপাশি তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিলেন তাঁরা বরং বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁদের মিছিলে হামলা চালানো হয়। দুই পক্ষের অশান্তিতে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। সোমবার তৃণমূল প্রার্থী অর্ধেন্দুশেখর মাইতির সমর্থনে এলাকায় সভা করতে এসেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। কিন্তু জানা গিয়েছে, এই ঘটনার কারণে পরিস্থিতি এতটাই উত্তেজিত হয়ে ওঠে যে মিমি চক্রবর্তী সভা না করেই ফিরে যান। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, ভোট যত সামনে আসবে ততই এ ধরনের ঘটনা বাড়বে বৈ কমবেনা। সেক্ষেত্রে দেখার, নির্বাচন কমিশন এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন! আপনার মতামত জানান -