প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচন যত সামনে আসছে, ততই শাসক ও বিরোধী শিবিরের রাজনৈতিক সংঘর্ষ বেড়ে চলেছে বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের। সদ্য আক্রান্ত হয়েছেন গেরুয়া শিবিরের নেতা বাবু মাস্টার, তারপর আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী জাকির হোসেন। আর এবার কলকাতার বুকে আক্রান্ত হলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা এবং উত্তর কলকাতার জেলা বিজেপি সভাপতি শিবাজী সিংহ রায়। ঘটনার জেরে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। সূত্রের খবর, কলকাতার বুকে ফুলবাগান থানা এলাকার কাঁকুরগাছিতে তৃণমূল বিজেপির সংঘর্ষের জেরে ব্যাপক গন্ডগোল ছড়ায়। তৃণমূল থেকে প্ল্যানমাফিক বিজেপি নেতাদের অপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।

বেশ কিছুক্ষণ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে স্থানীয় বিজেপি নেতা প্রসেনজিৎ সাউয়ের ওপর হামলা হয় ফুলবাগান এলাকায়। বুধবার রাতে তারই প্রতিবাদে জনসভা করেন আরেক বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঘটনার প্রতিবাদে ডেপুটি কমিশনারের অফিসে যাওয়ার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর মিছিল করে। এই মিছিল ফুলবাগান মোড় থেকে 400 মিটার পেরোতেই সূত্রের খবর তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গেরুয়া শিবিরের মিছিলের ওপর হামলা চালায়। ঘটনার ভয়াবহতা আঁচ করে শুভেন্দু অধিকারী গাড়ি ঘুরিয়ে ডিসি অফিসের দিকে চলে গেলে সেখানেও তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে জানা গিয়েছে।

এই ঘটনায় বিজেপির অন্যতম নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা এবং উত্তর কলকাতার জেলা বিজেপি সভাপতি শিবাজী সিংহ রায় সহ বেশকিছু বিজেপি কর্মী আহত হন। ঘটনার জেরে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের রাজনীতি শুরু হয়েছে। গেরুয়া শিবির তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা মাত্রই তৃণমূল পাল্টা অভিযোগ জানিয়ে বলেছে, তাঁদের ওপর বিজেপি হামলা চালিয়েছে। যথারীতি এই ঘটনার জেরে তৃণমূল নেতা পরেশ পালের নেতৃত্বে ডিসি অফিসের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ চলে।

সূত্রের খবর, বিজেপি নেতা শিবাজী সিংহ রায়ের আঘাত অত্যন্ত গুরুতর। জানা গিয়েছে, তাঁকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চালানো হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যত দিন যাচ্ছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন ততই স্পর্শ কাতর হয়ে উঠছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রমাগত শাসক-বিরোধী শিবিরের রাজনৈতিক সংঘাত প্রকাশ্যে আসছে। এই ঘটনা এড়াতে রাজ্যের নির্বাচন কমিশন কিন্তু আগেই নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ ক্রমশ প্রহসনে পরিণত হচ্ছে বলেই দাবি রাজনীতির কারবারীদের।