এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যেতেই জনপ্রিয় অভিনেতা পড়লেন আইনি গেরোয়, জল্পনা তুঙ্গে

তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যেতেই জনপ্রিয় অভিনেতা পড়লেন আইনি গেরোয়, জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি বিরোধী শিবির অভিযোগ তুলেছে, তৃণমূল থেকে কেউ বেরিয়ে গেলেই তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হয় প্রশাসনিক তদন্ত। ইতিমধ্যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে শুরু হয়ে গেছে তদন্ত। আর এবার অভিযোগ উঠেছে জনপ্রিয় অভিনেতা যিনি তৃণমূল থেকে কিছুদিন আগেই গেরুয়া শিবিরে গিয়েছেন, সেই রুদ্রনীল ঘোষের বিরুদ্ধে।

 সূত্রের খবর, রুদ্রনীলের বিরুদ্ধে তৃণমূল সরকার শুরু করতে চলেছে একটি তদন্ত। যথারীতি এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। শোনা যাচ্ছে, রুদ্রনীল ঘোষের বিরুদ্ধে একটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর।

প্রসঙ্গত, তৃণমূলে থাকাকালীন রুদ্রনীল ঘোষ ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের জনপরিষেবা অধিকার কমিশনের কমিশনার। রুদ্রনীল ঘোষের তদন্তের ব্যাপারে বলা হয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখে তবেই তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এই তদন্তের কথা ইতিমধ্যেই কানে গিয়েছে রুদ্রনীল ঘোষের। তিনি যথেষ্ট কটাক্ষ করেন শাসক দলের প্রতি এবং বলেন, তিনি তদন্তের কথায় যথেষ্ট আনন্দ পেয়েছেন। 

রুদ্রনীল দাবি করেছেন, তদন্তের খবর তৈরি করে তাঁর ইমেজ খারাপ করার চেষ্টা হচ্ছে আর একথা সবাই বুঝতে পারছে। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, তাঁকে আইনি তদন্তে ফাঁসিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি রুদ্র জানিয়েছেন, রাইট টু পাবলিক সার্ভিস কমিশনে দুর্নীতির কোনো জায়গা নেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কারণ রুদ্রের কাজ ছিল সরকারি অফিসাররা ঠিকঠাক কাজ করছেন কিনা তা দেখার। সেখানে দুর্নীতি তিনি কীভাবে করবেন তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি। পাশাপাশি ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, কমিশনার হিসেবে তিনি যদি কোথাও যেতেন তখন ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের কাজ ছিল তাঁকে গাড়ি কিংবা যাবতীয় আনুষঙ্গিক জিনিসের জোগান দেওয়া।

কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে আইনি তদন্তের নির্দেশ কেবল দিতে পারেন রাজ্যপাল। তবে রুদ্রনীলের নাম রয়েছে এমন কোন তদন্তের নির্দেশের প্রতিলিপি প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার হাতে আসেনি। পাশাপাশি জনপরিষেবা অধিকার কমিশনের সচিবকে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের অ্যাসিস্যান্ট সচিব শুধুমাত্র একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।

এবং তাতে কমিশনের এক কর্তার আর্থিক দুর্নীতি ও পেশাগত অসদাচরণ নিয়ে অভিযোগ এসেছে। অন্যদিকে এই তদন্তের ব্যাপারে ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পান্ডের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি পুরো ব্যাপারটি এড়িয়ে যান। তবে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, ধারা অনুযায়ী যদি রুদ্রনীল ঘোষের নামে সত্যি সত্যিই কোনো আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় তাহলে সেক্ষেত্রে বোঝাই যাচ্ছে শাসকদল একপ্রকার চাপে ফেলার চেষ্টা করছে দল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া রুদ্রনীলকে। তবে সরকারের আইনি তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে রুদ্রনীল যে চুপ করে বসে থাকবেন না, সে কথা বলাই যায়।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!