এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের চাপ বাড়িয়ে বিজেপি সাংসদ নিলেন আগামী দিনের দলবদলকারীদের নাম

তৃণমূলের চাপ বাড়িয়ে বিজেপি সাংসদ নিলেন আগামী দিনের দলবদলকারীদের নাম


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল শিবিরের ভাঙন পর্ব যেন আর শেষ হচ্ছেনা। এক নেতাকে থামালে আরেক নেতা শুরু হয়ে যাচ্ছেন, তাঁকে থামালে আরেক নেত্রী বেসুরো হয়ে যাচ্ছেন। কার্যত এই মুহূর্তে বিদ্রোহী নেতাদের ক্ষোভ উপশম করতে দৌড়ে বেড়াতে হচ্ছে শীর্ষ নেতাদের। ঠিক এই অবস্থায় গেরুয়া শিবিরের অন্যতম সাংসদ সৌমিত্র খাঁ কার্যত বিস্ফোরক দাবি করলেন। আর কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্যের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রচারে আসার কথা। কিন্তু তার আগেই বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ কার্যত চাপ বাড়ালেন তৃণমূলের ওপর। এ দিন সৌমিত্র খাঁ বেশ কয়েকজন রাজ্যের মন্ত্রী এবং তৃণমূল সাংসদের নাম করলেন, যারা হয়ত আর কিছুদিনের মধ্যেই গেরুয়া শিবিরে আসবেন বলে দাবি করলেন তিনি।

এদের মধ্যে অন্যতম নাম হল অবশ্যই বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রসঙ্গত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরেই বেসুরো। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বেশ কয়েকবার তাঁর সাথে বৈঠক করেছেন, কিন্তু তাতেও বরফ গলেনি। যথারীতি, শনিবার রাজীব ফেসবুক লাইভ করে দলের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলেন। তবে দলবদল নিয়ে প্রবল জল্পনা তৈরি হলেও এখনো পর্যন্ত রাজীব সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলবদল শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। এরপরের যে সাংসদের নাম নিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ, তিনি হলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। যিনি বৃহস্পতিবার থেকে বেসুরো হয়েছেন।

শনিবার তাঁর দিল্লি যাবার কথা থাকলেও শুক্রবার রাতের মধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুণাল ঘোষের সঙ্গে আলোচনা করে শতাব্দী তাঁর মনোভাব বদলেছেন। যদিও সৌমিত্র খাঁ দাবী করেছেন, শতাব্দী রায় দু-চার দিনের জন্যই তৃণমূলে রয়েছেন, এরপর তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন। এরপর যার নাম সৌমিত্র খাঁ জানিয়েছেন, তিনি হলেন আরামবাগের সাংসদ অপরুপা পোদ্দার। দীর্ঘদিন ধরেই অপরুপা পোদ্দার দলের বিরুদ্ধে একটু একটু করে সুর চড়িয়েছেন। গত বছরের শেষের দিকেই অপরুপা পোদ্দার এর নাম না করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, যারা সারদা বা নারদা জড়িত, তাঁরাই বিজেপিতে যাচ্ছেন। এর প্রবল প্রতিবাদ করেন অপরূপা। প্রসঙ্গত, নারদা কান্ডে অপরুপা পোদ্দার এর নাম জড়িয়েছে। 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর বিষ্ণুপুরের সাংসদ যার নাম নিয়েছেন, তাঁকে নিয়ে গত রাত থেকেই তৈরি হয়েছে তৃণমূল শিবিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। হঠাৎই শুক্রবার রাত থেকে বেসুরো হতে শুরু করেন হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই সৌমিত্র খাঁ দাবি করেছিলেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন। তখন অবশ্য প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় পুরো ব্যাপারটি উড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু আবারও সৌমিত্র খাঁ প্রসূন বন্দোপাধ্যায়ের নাম করে বলে দিলেন, তিনি গেরুয়া শিবিরে আসবেন। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধরে রাখতে ইতিমধ্যেই তাঁর সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় কথা বলেছেন।

সৌমিত্র খাঁ যেভাবে দাবি করেছেন, গেরুয়া শিবিরে তৃণমূলের বিধায়ক এবং সাংসদ যাওয়ার, ঠিক একইভাবে কিন্তু তৃণমূলের পক্ষ থেকেও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং কুনাল ঘোষ বেশকিছু বিজেপি সাংসদ, বিধায়কের তৃণমূলে আসার কথা বলেন। তবে শুভেন্দু অধিকারী কে নিয়েও সৌমিত্র খাঁ ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যা ফলে গেছে। আর তাই সৌমিত্র খাঁ এর নতুন দাবী যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে যেসব তৃণমূল হেভিওয়েটদের নাম নিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ, তাঁরা অবশ্য সৌমিত্র খাঁয়ের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত কিছু জানাননি। আপাতত নজর রয়েছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সৌমিত্র খাঁ এর দাবি যদি সত্যি প্রমাণিত হয়, তাহলে কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল শিবির পুরোপুরি ধসে যাবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা যথেষ্ট চেষ্টা চালালেও তৃণমূল শিবিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে সব থেকে বেশি সমস্যার সৃষ্টি করেছে, সেকথা বলাই বাহুল্য। আর এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সুযোগেই দলে শুরু হয়েছে ভাঙন। আর তার সুযোগ নিচ্ছে গেরুয়া শিবির। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে, আর সেই চওড়া ফাটল দিয়ে চোরাগোপ্তা আক্রমণ চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!