এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > তৃণমূলের কাউন্সিলরদের দলে আনা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বিজেপি!

তৃণমূলের কাউন্সিলরদের দলে আনা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বিজেপি!

গত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি 18 টি আসন পাওয়ার পরেই তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট নেতা ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিতে শুরু করেন। আর তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের নিয়ে বিজেপির অনেকেই তীব্র আপত্তি জানান। যার ফলে পুরাতন বনাম নতুন বিজেপির মধ্যে তৈরি হয়ে যায় বিবাদ। সামনেই পৌরসভা নির্বাচন‌। বিজেপি অনেক জায়গাতেই চেষ্টা করছে, তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলরদের নিজেদের দিকে নিয়ে পৌরসভা নির্বাচনে ভালো ফল করতে।

তবে এটা নিয়েই রীতিমত গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে ভারতীয় জনতা পার্টিতে। জানা গেছে, বিজেপির একটা অংশ বহরমপুরে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলরদের নিজেদের দিকে টানতে চাইছে। তবে গেরুয়া শিবিরের অন্য অংশ অবশ্য দাবি জানাচ্ছে যে, শাসকদলের এই সমস্ত কাউন্সিলরকে যদি দলে নিয়ে আসা হয়, তাহলে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে যাবে। যার ফলে পৌরসভা নির্বাচনে ভালো ফল করা সম্ভব হবে না ভারতীয় জনতা পার্টির। তাই সেই সমস্ত কাউন্সিলার যাতে না আসতে পারেন, তার জন্য এক পক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানাতেও শুরু করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি বেশ কিছুদিন আগে বহরমপুরের তৃণমূলের এক প্রাক্তন জনপ্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা যায় বিজেপি নেতৃত্বকে। আর এই খবর হোয়াটসঅ্যাপের বিভিন্ন গ্রুপ এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘুরতে শুরু করলে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অনেকের মনেই জল্পনা তৈরি হয়, এবার হয়ত পৌরসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে চাপে রাখতে তৃণমূলের এই সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের বিজেপি নিজেদের দিকে নিয়ে আসবে। তবে এরই বিরোধিতা করে দলের একাংশ। আর তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের নিজেদের দিকে নিয়ে আসা নিয়ে দলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ এখন রীতিমত অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শাখারভ সরকার বলেন, “আমাদের দল বড় হয়েছে। অনেকেই দলে আসতে চাইছেন। তাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। আগামী দিনে তৃণমূলকে ধাক্কা দেওয়াই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।” অন্যদিকে এর কিছুটা বিরোধিতা করে বিজেপির নেতা তপন চন্দ্র বলেন, “যেসব জনপ্রতিনিধি দুর্নীতি করছেন, তাদের শহরের বাসিন্দারা দেখতে চাইছে না। তাদের নেওয়া হবে না। আগামী দিনে অন্যান্যরা আসতে পারে। তবে দলে যোগ দিলেই টিকিট পাওয়া যাবে, এমন ভাবার কোনো কারণ নেই।” আর দুই নেতার কথাতেই স্পষ্ট যে, তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে দুইজনের ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। আর এই ভিন্নমত থাকায় বিজেপি এখন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!