তৃণমূলের প্রার্থীরা হেভিওয়েট, লড়তে ভয় বিজেপির! জোর চাঞ্চল্য! মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য March 16, 2020 আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মালদহের 2 পৌরসভায় তৃণমূল হেভিওয়েট প্রার্থীদের সঙ্গে লড়াই করার মত সাহস দেখাতে পারছে না ভারতীয় জনতা পার্টি। জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতাদের বিরুদ্ধে এমন কোন ব্যাক্তিকে তারা ভোটে দাঁড় করাবে, যার ফলে জয় আসবে। তা নিয়েই এখন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরের কাছে। প্রসঙ্গত, ইংলিশবাজার পৌরসভায় তৃণমূলের যে সমস্ত কাউন্সিলর রয়েছেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম নিহার রঞ্জন ঘোষ, কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, বাবলা সরকার, নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি সহ অন্যান্যরা। এদের মধ্যে প্রায় প্রত্যেকেই দীর্ঘদিন ধরে পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। এমনকি কৃষ্ণেন্দুবাবু রাজ্যের মন্ত্রীও ছিলেন। তাই মালদহ জেলার এই সমস্ত প্রতিষ্ঠিত তৃনমূল নেতারা, যারা একসময় গনি খান চৌধুরীর কাছ থেকে রাজনীতির পাঠ নিয়েছিলেন, তারা বিজেপিকে খুব সহজেই কুপোকাত করবেন বলে মনে করছে একাংশ। ফলে বিজেপি চেষ্টা করছে, এই সমস্ত হেভিওয়েট নেতাদের বিরুদ্ধে ডাকাবুকো প্রার্থী দাঁড় করিয়ে সেই সমস্ত নেতাদের পরাস্ত করতে। কেননা যদি ভারতীয় জনতা পার্টি পৌরসভা নির্বাচনে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন তৃণমূল নেতাদের পরাস্ত করতে পারে, তাহলে বিজেপির কাছে তা প্রবল মাইলেজ হিসেবেই পরিণত হবে বলেই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তবে শুধু ইংলিশবাজার নয়, পুরাতন মালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষের বিরুদ্ধেও তেমন কোনো মুখ পাচ্ছে না ভারতীয় জনতা পার্টি। একইভাবে ভাইস চেয়ারম্যান চন্দনা হালদার সহ একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বিজেপি কাকে দাঁড় করাবে, তা নিয়ে কার্যত সন্দিহান তারা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাই এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের ডাকাবুকো প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী কতটা নিজেদের দিকে জয় আনতে পারে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। এদিন এই প্রসঙ্গে ইংরেজবাজার পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা জেলা তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার বলেন, “দুই শহর মিলিয়ে আমাদের দলের বেশ কয়েকজন নেতা নেত্রী রয়েছেন, তারা রাজনীতির পরিচিত মুখ। তাঁদের সঙ্গে লড়তে পারবেন, এমন প্রার্থী খুজতেই বিরোধীরা হিমশিম খাবে। তাছাড়া আসন্ন পৌর নির্বাচনে বিজেপি হালে পানি পাবে না। কারণ সারা বছর আমরা মাঠে ময়দানে নেমে কাজ করি। আর বিজেপি নেতারা বসন্তের কোকিলের মত ভোটের আগে রাস্তায় নামেন। বিজেপি প্রচারের জন্য মঞ্চে মাইক বাধার আগেই আমরা ভোটে বাজিমাত করব।” তবে তৃণমূলের এই দাবি মানতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা বিজেপির সহ সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থীদের নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। কারণ ওরা ক্রমশ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। সমাজের উচ্চস্তরের বিচরণ করে এমন পরিচিত মুখও আমাদের প্রয়োজন নেই। বরঞ্চ সারাবছর জঞ্জাল, নিকাশি নালা পরিষ্কারের মত কাজ মাঠে ময়দানে নেমে করতে পারবেন, এমন লোককেই আমরা প্রার্থী তালিকায় অগ্রাধিকার দিচ্ছি।” আপনার মতামত জানান -