“তৃণমূল যাবেই” শহীদ স্মরণের মঞ্চ থেকেই গর্জে উঠলেন শুভেন্দু! দিশেহারা ঘাসফুল! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য March 14, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-যা পরিস্থিতি বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের, যেভাবে তাদের দল ভাঙতে শুরু করেছে এবং যেভাবে মানুষ জেগে উঠতে শুরু করেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে, তাতে এই রাজ্যের শাসকদলের বিদায়ের সময় হয়ে গিয়েছে। বিগত বাম আমলের শেষের দিকে সিপিএম নেতাদের বিরুদ্ধেও কিন্তু মানুষ পথে নামতে শুরু করেছিলেন। তখন নন্দীগ্রাম পদ দেখিয়েছিল। আর তারপরে রাজ্যে পরিবর্তন হয়েছিল। আর বর্তমানে তৃণমূল সরকারের যে অত্যাচার, তার বিরুদ্ধে সন্দেশখালি যেভাবে গর্জে উঠছে, তাতে বোঝাই যাচ্ছে যে, তৃণমূলের শেষের সময় আসন্ন। কিন্তু 2024 এর লোকসভা নির্বাচনে যদি বিজেপি তাদের প্রত্যাশা মত ভালো ফলাফল করে এবং তৃণমূল কয়েকটি আসন পেয়েই আটকে যায়, তারপরেই কি রাজ্যে হয়ে যাবে বড়সড় পরিবর্তন? বিদায় নেবে এই বর্তমান ফ্যাসিস্ট শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস? নন্দীগ্রামে শহীদ বেদীতে মাল্যদান করার পর শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তাতে দিশেহারা হয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, তৃণমূলের হাতে সময় খুব কম। এবার তাদের বিদায় নিতেই হবে। মানুষের জনরোষ কিন্তু সেই কথাই বলছে। প্রসঙ্গত, আজ 14 মার্চ উপলক্ষে নন্দীগ্রামে বশ্যতা বিরোধী আন্দোলনের বর্ষপূর্তির কারণে প্রতিবারের মত এবারেও শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি ইঙ্গিত দেন যে, সন্দেশখালি নন্দীগ্রামের দেখানো পথেই হাঁটছে। অর্থাৎ আরও একবার রাজ্যে পরিবর্তনের সময় হয়ে গিয়েছে বলে আভাস দেওয়ার চেষ্টা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের তরফে তাকে এই রাজ্যে সরকার বদল নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। যে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “2024 হোক বা 26, ভোট হলেই এরা বিদায় নেবে। তৃণমূল যাবেই।” অর্থাৎ একটা জিনিস পরিষ্কার যে, বিজেপি কিন্তু মানুষের ভোটেই ক্ষমতায় আসতে চলেছে। এক্ষেত্রে তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে অন্য কোনো কায়দায় বিদায় জানানো বিজেপির পদ্ধতির মধ্যে পড়ে না। বিজেপি এখনও পর্যন্ত কোনো রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার মত রাস্তায় হাঁটেনি। মানুষের মতামত নিয়েই তারা ক্ষমতা দখল করেছে। এক্ষেত্রে বাংলাতেও যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যেভাবে মানুষ এই তৃণমূল সরকারের ওপর বিরক্ত, তাতে শুভেন্দু অধিকারী নিশ্চিত যে মানুষের মতামত যাবে বিজেপির দিকেই। আর সেই দিন আসতে খুব দেরি নেই, যেদিন তৃণমূলকে এই রাজ্য থেকে বিদায় নিতে হবে। পর্যবেক্ষকদের মতে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কাছে অনেক সুযোগ আছে, এই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার মত। কিন্তু তারা সেটা করতে দিতে চায় না। কারণ বিজেপি সেই নীতিতে বিশ্বাসী নয়। তারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চায় না, মানুষের মতামত নিয়েই বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় আসবে। তাই ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারীর যে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখা গেল, তাতে বোঝাই যাচ্ছে যে, এবার বিজেপি বাংলা থেকে দারুন ফলের আশা করছে। আর পরবর্তীতে যেদিনই বাংলার বিধানসভা নির্বাচন হবে, সেদিন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই এই তৃণমূল সরকারকে বিদায় জানানো সম্ভব হবে। তাই তৃণমূলের মত একটা ফ্যাসিস্ট দলকে নিয়ে বিজেপি যে মোটেই চিন্তিত নয়, তা বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কারণ বাংলার যা পরিস্থিতি, তাতে সকলেই এই তৃণমূলের থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন। তাই সঠিক ভাবে ভোট হলেই বঙ্গোপসাগরে তড়িয়ে যাবে তোলামূল কোম্পানি। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -