এখন পড়ছেন
হোম > Uncategorized > লজ্জার মাথা খেলেন মমতা! ফের দু কান কাটা বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর!

লজ্জার মাথা খেলেন মমতা! ফের দু কান কাটা বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-ক্ষমতা ভোগ করার যে কি লালসা এই রাজ্যের শাসকদল এবং তাদের মুখ্যমন্ত্রীর রয়েছে, তা বলে বোঝানো যাবে না। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে, কেন্দ্র বিরোধী কথা বলে ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা না হলে একজন মানুষ বিধানসভা ভোটে কোনো একটি সিটে দাঁড়িয়ে হেরে যাওয়ার পর আবার কোনো একজন ব্যক্তিকে ভবানীপুর থেকে সরিয়ে দিয়ে নিজে কখনও সেই আসন থেকে লড়ে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন? যদি তার বিবেক থাকত, তাহলে তিনি হেরে যাওয়ার পর দলকে নেতৃত্ব দিতেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হতেন না। তবে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর তো সবকিছু চাই। দলের ক্ষমতা চাই, সরকারের ক্ষমতা চাই, চেয়ার দখল করে রাখতে হবে তাকে। তাই শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরেও আজকে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর আসনে নির্লজ্জভাবে বসে বিরোধী শক্তিকে দমন করার চেষ্টা করছেন। না, এই সমস্ত কথা আমরা বলছি না। এই সমস্ত কথা বলছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন নন্দীগ্রামে শহীদ বেদীতে মাল্যদান করার পর এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আবার দু কান কাটা বলে আক্রমণ করলেন শুভেন্দুবাবু।

প্রসঙ্গত, সিএএ নিয়ে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অযথা বিরোধিতা করছেন। মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছেন প্রতিনিয়ত। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এদিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে অতীতে তিনি কিভাবে হারিয়েছেন, সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “ওনার তো লজ্জা নেই। আমার কাছে হেরেও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। উনি তো দু কান কাটা।” একাংশ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যদি জুতসই জবাব কেউ দিতে পারেন, তাহলে তার নাম শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষায় বোঝেন, তাকে সেই ভাষাতেই জবাব দেন বিরোধী দলনেতা। লড়াইটা এরকমই হওয়া উচিত। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যত বড়ই নেত্রী হোন না কেন, নন্দীগ্রামের মাটিতে তিনি ২০২১ সালে লড়াই করতে এসে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে গোহারা হেরেছেন। কিন্তু তারপরে তিনি যদি প্রকৃত রাজনৈতিক নেত্রী হতেন, তাহলে দল পরিচালনা করতেন। সরকারে নাক গলাতেন না। অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করতেন। কিন্তু সেটা না করে ক্ষমতা দখল করতে হবে তাকে, সেই কারণে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে ভবানীপুর আসন থেকে ইস্তফা দিতে বলে সেখান থেকে তিনি জিতে এসে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার দখল করলেন। আর সেই দিন থেকেই সকলের প্রশ্ন যে, এত বড় নেত্রী যখন, তখন নন্দীগ্রামে কেন জেতার ক্ষমতা হলো না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? কেন অন্য একজন জ্যান্ত লোককে পদত্যাগ করিয়ে সেই নিজের ঘরের কেন্দ্র থেকে জিততে হলো তাকে? তাহলে তিনি বড় মাপের নেত্রী, এটার প্রমাণ তো হলো না!

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারীর এই চ্যালেঞ্জ কোনোদিন গ্রহণ করতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তো পদলোভী একজন ব্যক্তি। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী পদ ছাড়াও শুভেন্দু অধিকারী, পদ নিয়েও শুভেন্দু অধিকারী। কারণ তিনি মানুষের সঙ্গে থেকে রাজনীতি করেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুবিধাবাদী রাজনীতি করে ক্ষমতা দখল করার চেষ্টা করেন। এটাতেই দুজনের মেরুদন্ড এবং শিরদাঁড়ার মধ্যে আমূল পার্থক্য। তাই প্রকাশ্য সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে আরও একবার বিড়ম্বনার মুখে ফেলে দিলেন। বুঝিয়ে দিলেন যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতা দখল করার জন্য কতটা স্বপ্ন দেখেন। মানুষ বিপদে পড়ছে পড়ুক, তাতে তার কোনো নজর নেই। কিন্তু তিনি চেয়ার নিজের দখলে রাখতে পারছেন কিনা, এটাতেই তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি। আর এসব করতে গিয়েই মানুষ যে তার থেকে দূরে চলে যাচ্ছে এবং এবারের লোকসভা ভোটেই যে তার মুখ থুবড়ে পড়বে, সেটা হয়ত অনুভব পর্যন্ত করতে পারছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!