ত্রিপুরার ক্ষমতা দখলে থাকবে না, জেনে গেছে বিজেপিও? বিস্ফোরক হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদ! জাতীয় তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি August 30, 2021 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃতীয়বারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল করার পর এবার অন্যান্য রাজ্যগুলোতে সংগঠন চাঙ্গা করতে মনোযোগী হয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। একদিকে বিজেপিকে চাপে ফেলা এবং ধীরে ধীরে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে মনোযোগী হয়ে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। সেদিক থেকে পশ্চিমবঙ্গের পর এখন ত্রিপুরা নিয়ে সবথেকে বেশি তৎপর হতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে। আগামী দিনে অর্থাৎ 2023 সালে ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি সেখানকার ক্ষমতা হারাবে বলে কার্যত আত্মপ্রত্যয়ী তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও বা তৃণমূলের এই বক্তব্যকে দিবাস্বপ্ন বলে উড়িয়ে দিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু প্রকাশ্যে বিজেপি যে কথাই বলুন না কেন, তাদের অনেক নেতাও জানে যে, ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস আসছে! ইতিমধ্যেই এই রকমই একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। সূত্রের খবর, ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করবে বলে দাবি করেন হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদ। আর তারপরেই বিজেপির গোপন খবর প্রকাশ করেন তিনি। যেখানে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি কারও নাম করছি না। তবে বিজেপির অনেক বড় নেতা হবেভাবে বার্তা দিয়েছেন যে, এবার তৃণমূল কংগ্রেস আসছে।” আর কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দাবি ঘিরেই তৈরি হয়েছে জল্পনা। কোন বিজেপি নেতা এই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন, তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যের পর এই প্রশ্ন ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ অবশ্য বলছেন, কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতিতে অত্যন্ত অভিজ্ঞ। এক্ষেত্রে তিনি এই ধরনের মন্তব্য করে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে চাইছেন। পাশাপাশি তাদের সংগঠন ত্রিপুরাতে বাড়ছে, সেই কথা এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরে ত্রিপুরাতে নিজেদের আধিপত্য বাড়ানোর পক্ষেই মন্তব্য করতে দেখা গেল শ্রীরামপুরে তৃণমূল সাংসদকে। বিজেপির দাবি, এই সমস্ত কথা বলে খবরের শিরোনামে উঠে আসতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সংগঠন না থাকলে শুধুমাত্র বক্তব্য দিয়ে লাভের লাভ কিছুই হবে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -