এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > তীব্র ‘বিপাকে’ পঞ্চায়েতে ‘বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী’ শাসকদলের প্রার্থীরা

তীব্র ‘বিপাকে’ পঞ্চায়েতে ‘বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী’ শাসকদলের প্রার্থীরা

রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের ‘সন্ত্রাসের’ জেরে রাজ্যের বহু আসনেই প্রার্থী দিতে পারা যায় নি বলে বিরোধীদের অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে প্রথমে নির্বাচন কমিশন একদিনের জন্য মনোনয়নের দিন বাড়ালেও, রাত না পেরোতেই তা প্রত্যাহার করে নেয়। আর এরফলেই রাজ্যজুড়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী শাসকদলের প্রার্থীরা রীতিমত বিজয়মিছিল বের করে ফেলে। পঞ্চায়েতের নির্ঘন্ট ঘোষণার আগে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বীরভূমে গিয়ে কার্যত চ্যালেঞ্জের শুরে জানিয়েছিলেন, গোটা বাংলায় কি ফল হবে জানি না, তবে বীরভূম জেলা পরিষদ বিজেপি দখল করবেই। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, নির্বাচন ঘোষণা হতেই বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল জানিয়ে দেন, তৃণমূলের ‘উন্নয়ন’ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকবে, ‘মশার’ উপদ্রব থেকে বাঁচতে মশারি টাঙিয়ে দেবেন। আর, সেই উন্নয়ন আর মশারির জোরে দেখা যায়, বীরভূমে বিরোধীরা কার্যত লড়াইয়েই নেই। গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতি তো বটেই জেলা পরিষদের ৪২ টির মধ্যে ৪১ টি আসনেই কোনো বিরোধী প্রার্থী দিতে পারেনি।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

ফলে স্বাভাবিক ভাবেই বীরভূম জেলায় শাসকদলের ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের’ উচ্ছ্বাসটা ছিল মাত্রাছাড়া। জেলা পরিষদের একমাত্র বিরোধী প্রার্থী বিজেপির চিত্রলেখা রায়ও পরবর্তীকালে ‘নিজের ভুল বুঝতে পেরে’ শাসকদলে যোগ দেন ও মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন (যদিও আদালতের রায়ে তা এখন কার্যকর নয়)। আর বায়না প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিরোধী-শূন্য জেলা পরিষদ পেয়ে শাসকদের কর্মীরা দেওয়াল লিখন শুরুক করে দেন ‘বিজয়ী’ প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে। কিন্তু বর্তমানে আদালতের রায়ে আবার মনোনয়নের জন্য একদিন খুলে গেছে, ফলে আগামীকাল যদি বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দেন এবং নির্বাচন হলে যদি জিতে যান? এইসব প্রশ্নের সামনেই চূড়ান্ত বিড়ম্বনায় শাসকদলের জেলা নেতৃত্ত্ব। তবে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ত্ব বলছেন, কেউ কেউ অতি উত্‍সাহে এইগুলো লিখে ফেলেছেন। তবে দেওয়াল লিখন যখন হয়ে গিয়েছে তখন সেই ফলাফলটা এলাকার মানুষ আমাদের হাতে যাতে তুলে দেন তার ব্যবস্থা করতে হবে!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!