এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভবানীপুরে সবুজ ঝড় তুলতে অভিনব পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর, এক লহমায় বেকায়দায় গেরুয়া শিবির

ভবানীপুরে সবুজ ঝড় তুলতে অভিনব পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর, এক লহমায় বেকায়দায় গেরুয়া শিবির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভবানীপুর কেন্দ্রকে মুখ্যমন্ত্রীর খেলার মাঠ বলা হয়ে থাকে। তাই উপ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই ভবানীপুরে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে ঘাসফুল শিবির। ভবানীপুর নিয়ে প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিল তৃণমূল। তবে, পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল এর নাম ঘোষণা করতেই উজ্জীবিত হয়ে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বড় রকম লড়াইয়ে নেমেছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। তাই ভবানীপুর নিয়ে আশঙ্কা বাড়তে শুরু করেছে তৃণমূলের। আর এই অবস্থায় ভবানীপুরে বিজেপিকে মাত করে দিতে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

করোনা সংক্রমণকালে যেহেতু উপ নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে, এজন্য প্রচারের ব্যাপারে বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। বড় বড় রেলি করে প্রচার এবার সম্ভব নয়। তাই এই পরিস্থিতিতে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছানো যথেষ্টই কঠিন। তাই এক অভিনব পন্থা বের করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একটি গ্রিটিংস কার্ড সামনে এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভবানীপুরের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে এই গ্রিটিংস কার্ড পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যা আজকের মধ্যেই পাঠিয়ে দেয়া হবে। গ্রিটিংস কার্ডটি নীল, সাদা রঙের করা হয়েছে। যেখানে শুভেচ্ছা বার্তা দেয়া হয়েছে ভবানীপুরবাসীদের। সকলের কাছে পৌঁছাতে না পারার জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রীকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গ্রিটিংস কার্ডটিতে মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে ঘরের মেয়ে বলে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ভবানীপুর কেন্দ্রের সমস্ত মা, ভাই, বোন, বড়দের সম্মান ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছেন তিনি। জোড়া ফুল চিহ্নে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে এই কেন্দ্রের সকলের কাছে তিনি একটি ছোট আবেদন করতে চান। তিনি জানালেন, তাঁর রাজনৈতিক জীবনের একেবারে শুরু থেকে ভবানীপুর। এই কেন্দ্রকে ঘিরে তিনি রাজনীতির পথ চলা শুরু করেছিলেন। খারাপ সময়ে, ভাল সময়তে, উৎসবে, আন্দোলনে মানুষের পাশে থাকার জন্য সব সময় ভবানীপুরবাসীর আশীর্বাদ ও ভালোবাসা তিনি পেয়েছেন।

ভবানীপুর কেন্দ্রের জন্য তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হতে পেরেছেন। সমস্ত মানুষকে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তাকে ভোট দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আসন রক্ষায় তাঁর পাশে থাকার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপে এক ধাক্কায় অনেকটাই পেছনে পড়ে গেল বিজেপি শিবির। এই পদক্ষেপের দ্বারা খুব সহজেই ভবানীপুরের সমস্ত মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী। উপ নির্বাচনের জন্য যা যথেষ্ট রকম তাৎপর্যপূর্ণ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!