এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ভ্যাকসিন নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়! দেখে নিন কি বলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক

ভ্যাকসিন নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়! দেখে নিন কি বলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে কাল শুরু হতে চলেছে দেশব্যাপী ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে তরফে জানানো হয়েছে, ১৬ জানুয়ারী অর্থাৎ কাল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সকাল সাড়ে দশটায়, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশব্যাপী ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া সূচনা করবেন। দেশের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল মিলে মোট ৩০০৬ টি ভ্যাকসিন কেন্দ্রকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত করা হবে, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। প্রত্যেক কেন্দ্রে আনুমানিক ১০০ জন করে কাল ভ্যাকসিন পাবে বলেও জানানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন দুটি ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেই, দুটি করে ডোজ দিতে হবে। প্রথম ডোজ দেওয়ার ২৮ দিনের মাথায় দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। তবে, ভ্যাকসিন কার্যকর হতে সময় লাগবে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পর আরও ১৪ দিন। অর্থাৎ প্রথম ডোজ থেকে দেড় মাসের পর ভ্যাকসিন কর্যাকর হবে কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে।

ফলত, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও, কোভিড ১৯ সম্পর্কিত সমস্ত সতর্কতা বিধি মেনে চলতে হবে। তবে এখানেই অনেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে করোনা ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে। সেখানে সাধারণের মধ্যে থেকে বিভ্রান্তি দুর করতে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে একটি চিঠিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণকের তরফে গাইডলাইন পেশ করা হয়েছে বলেই জানা গেছে। সেখানে ভ্যাকসিনের যে জরুরী ব্যবহারের অনুমোদনে কেবলমাত্র ১৮ বছরের বা তার বেশি বয়সীদের জন্যই টিকা দেওয়ার কথা নির্দেশিত করা রয়েছে।

সেখানে গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মহিলারা এই ভ্যাকসিন নিতে পারবে না বলেই জানানো হয়েছে। এছাড়া বলা হয়েছে, এর সঙ্গে কোনও রক্তক্ষরণ বা রক্ত জমাট বাঁধার রোগ, যেমন ব্লাড ক্লোটিং ফ্যাক্টর, কোগলোপ্যাথি বা প্লেটলেট ডিসঅর্ডার রয়েছে এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিনটি সাবধানতার সঙ্গে প্রয়োগ করতে হবে। সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিন না নেওয়াও ভালো। এরই সঙ্গে যাদের দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা রয়েছে, বা ইমিউনো-অভাব রয়েছে, বা এইচআইভি রয়েছে সেইসমস্ত রোগীদের ভ্যাকসিন না নেওয়া ভালো।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেইসঙ্গে ভারত বায়োটেকের ‘কোভাক্সিন’ এবং সিরাম ইনস্টিটিউটের ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিনগুলির ক্ষেত্রে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে বলেও জানান হয়েছে। সেখানে কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে কিছুটা হালকা জ্বর, ইনজেকশন দেওয়ার স্থানে ব্যথা, মাথাব্যথা, অবসাদ, পাইরেক্সিয়া, সর্দি এবং আর্থ্রালজিয়া এবং বমি বমিভাব প্রভৃতি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোভাক্সিনের ক্ষেত্রেও ইনজেকশন দেওয়া স্থানে ব্যথা, মাথাব্যথা, অবসন্নতা, জ্বর, গায়ে ব্যথা, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, কাঁপুনি, ঘাম, সর্দি, কাশি হতে পারে।

তবে এক্ষেত্রে বিশেষ চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই বলেই জানান হয়েছে। সেখানে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ এর প্রতিক্রিয়া করা সম্ভব। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বৃহস্পতিবার কোভিড -১৯ ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কিত আরও একটি তথ্য পরিষ্কার করেছেন। তাঁর কথায়, এই ভ্যাকসিন গ্রহণের পর পুরুষ বা মহিলাদের ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি হতে পারে এমন কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কোউইন অ্যাপ নিয়েও সামনে এসেছে কিছু তথ্য।

সেখানে জানানো হয়েছে যেখানে এতদিন সরকারি স্বাস্থ্য কর্মীরাই এই অ্যাপে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারতেন, সেখানে আর কিছুদিনের মধ্যেই সাধারণ নাগরিকরা তাদের কভিড ১৯ এর টিকাদান অভিযানের জন্য নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে এক মাসের মধ্যেই সাধারণ মানুষের জন্য তা উপলব্ধ হবে বলেই জানান হয়েছে। অনলাইন ওয়েবসাইটের পাশাপাশি এটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন আকারেও উপলব্ধ হবে বলেই জানান হয়েছে। সেইসঙ্গে কোভিড -১৯ সম্পর্কিত গুজব থেকে বাঁচতে এবং সঠিক তথ্য পেতে কেবলমাত্র সরকারী যোগাযোগের চ্যানেলগুলিকেই বিশ্বাস করার জন্যই অনুরোধ করা হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!