এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > অপেক্ষায় বহু দেশ, তার মধ্যেও সিরাম ইনস্টিটিউট কি দেশের ভ্যাকসিনের চাহিদা মেটাতে পারবে? কি বললেন পুনাওয়াল্লা?

অপেক্ষায় বহু দেশ, তার মধ্যেও সিরাম ইনস্টিটিউট কি দেশের ভ্যাকসিনের চাহিদা মেটাতে পারবে? কি বললেন পুনাওয়াল্লা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নতুন বছরে ভ্যাকসিন আসার সুখবর পেয়েছে দেশবাসী। আশার কথা বলে বছরের প্রথম দিনই বৈঠকে বসেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তৈরি বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেই বৈঠকের পরই, জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অক্সফোর্ড অস্ত্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিনকে অনুমতি দেওয়া হয়। এরপরই বিশেষজ্ঞ কমিটি অনুমতি দায় ভারত বায়োটেক এর ভ্যাকসিনকে।

অবশেষে ৩রা জানুয়ারি, ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের তরফে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন এবং ভারত বায়োটেক এর ভ্যাকসিন জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পায়। প্রায় এক বছর করোনা আতঙ্কে কাটানোর মধ্যে, মানুষ একান্ত ভাবে অপেক্ষা করেছে ভ্যাকসিনের। নতুন বছরের শুরুতেই ভ্যাকসিন নিয়ে তাই খুশির খবর এসেছে। ভারত, পৃথিবীর বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক দেশ। স্বভাবতই, বিশ্বের বহু দেশেই ভ্যাকসিনের জন্য ভারতের দিকেই তাকিয়ে আছে।

ইতিমধ্যেই জানা গেছে, ব্রাজিল ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট এর থেকে ২০ লক্ষ ভ্যাকসিন কিনেছে। এছাড়াও সিরাম ইনস্টিটিউটের থেকে ভ্যাকসিন কিনতে চলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকার সাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তারা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট এর থেকে ১৫ লক্ষ করোনা ভ্যাকসিন কিনতে চলেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট এর থেকে ৩০ কোটি ভ্যাকসিন কেনার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মায়ানমার। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে এই ভ্যাকসিন পাওয়ার প্রত্যাশা রাখছে মায়ানমার সরকার। এছাড়াও ভ্যাকসিন কেনার জন্য সিরাম ইনস্টিটিউট এর সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বলিভিয়া। বলিভিয়া সরকার ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট এর সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ৫০ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন কেনার।

এভাবেই বহু দেশ ভ্যাকসিনের জন্য তাকিয়ে আছে ভারতের দিকে। এই ব্যাপারে পুনাওয়াল্লা বলেন, বহু দেশ সিরাম ইনস্টিটিউটের কভিশীল্ড ভ্যাকসিনের জন্য ভারত এর প্রধান মন্ত্রীর দফতরে চিঠি পাঠাচ্ছে এবং সিরাম ইনস্টিটিউট সকলকেই ভ্যাকসিন দিতে প্রস্তুত। কিন্তু দেশ এবং দেশের মানুষকে তারা গুরুত্ব দেবে।

তিনি আরও জানান, ভারতের বাইরে আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকাতে সিরাম ইনস্টিটিউট ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে। এই বিপুল চাহিদা মেটানোর ব্যাপারে তিনি জানান সিরাম ইনস্টিটিউট এই মুহূর্তে প্রতিমাসে সাত থেকে আট কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ২০২১ এ তাদের চ্যালেঞ্জ দেশের সমস্ত মানুষের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অক্সফোর্ড -অস্ত্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন ভারতে প্রস্তুত করছে সিরাম ইনস্টিটিউট। সিরাম ইনস্টিটিউট এর তৈরি এই ভ্যাকসিন “কভিসিল্ড” নামে ভারতের বাজারে আসবে। তবে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন তৃতীয় পর্যায়ের পর ৭০% কার্যকর বলা হয়েছে। সিরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে তাদের ভ্যাকসিন ৯২-৯৫% কার্যকর এবং কোরোনা ভাইরাসের দ্বারা গুরুতর ভাবে আক্রান্ত হওয়ার থেকে বাঁচাতে ১০০% কার্যকর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!