এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভাইপোকে আর কত মাইলেজ দেবে ইডি? জোরালো হচ্ছে সেটিং তত্ত্ব! হতাশ রাজ্যবাসী!

ভাইপোকে আর কত মাইলেজ দেবে ইডি? জোরালো হচ্ছে সেটিং তত্ত্ব! হতাশ রাজ্যবাসী!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একের পর এক পদক্ষেপ দেখে একটা বিষয়ে সকলেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। তা হল, এই বাংলার ইডি, সিবিআই আধিকারিকরা ভাইপোকে ডাকাডাকি করা অপেক্ষা তাকে প্রচার দিতে বেশি চেষ্টা করছেন। যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, যাকে হেফাজতে নেওয়ার দাবি উঠছে গোটা রাজ্য থেকে, তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার মতো চেষ্টা করতে দেখা যাচ্ছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তৃণমূলের এক যুবনেতাকে নিয়ে তাদের এই ঢিলেঢালা মনোভাব আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েছে। কিন্তু তারপরেও লজ্জা নেই। এবার যুবরাজকে বেছে বেছে এমন একটা দিনে তলব করলো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, যাতে বাড়তি মাইলেজ পেয়ে গেলেন সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, এদিন ইডির পক্ষ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে যে, আগামী 3 অক্টোবর তাকে কলকাতায় ইডির দপ্তরে উপস্থিত হতে হবে। সেদিন তাকে জেরা করা হবে। স্বাভাবিকভাবেই যারা সুবিচার চাইছেন, তারা এই ঘটনায় আশার আলো দেখবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সিংহভাগ মানুষ এতে সেটিংয়ের বিষয়টি সামনে আনতে শুরু করেছেন।‌ কেন উঠছে এই অভিযোগ? এই অভিযোগ ওঠার পেছনে প্রধান কারণ হচ্ছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই নির্দিষ্ট দিনে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কিছু করুক বা না করুক, তার হাতে একটা বড় অস্ত্র তুলে দিল। কি সেই অস্ত্র? আপনারা সকলেই জানেন যে, আগামী 2 এবং 3 অক্টোবর দিল্লিতে বাংলার বঞ্চনা নিয়ে তৃণমূলের একটি ধর্ণা বিক্ষোভ রয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই তাতে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি সেদিন দিল্লিতেই থাকবেন। চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে এই নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে। আর তার মাঝেই ইডির এই নোটিশ দেওয়ার পর তৃণমূল যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতি হিংসা পরায়ন আচরণের অভিযোগ তুলে গোটা রাজ্য জুড়ে বিজেপি বিরোধীতার সুরকে আরও চওড়া করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যার ফলেই প্রশ্ন উঠছে যে, কেন এই ন্যাকামো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার?

বলা বাহুল্য, এর আগেও দেখা গিয়েছে যেদিন দিল্লিতে বিরোধী জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠক ছিল, সেদিন বাংলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি তলব করেছে। আর সেই সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার হয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তাকে সহ্য করতে পারছেন না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং বিজেপি। সেই কারণেই তারা এই ধরনের কাজ করছেন। অর্থাৎ এক কথায় প্রতিহিংসা পরায়ন আচরণ করছে ভারতবর্ষের কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে দ্বিতীয়বার আবারও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এইরকম কোনো অভিযোগ তুলবেন, বিজেপিকে কটাক্ষ করবেন।

এদিনের নোটিশের মধ্যে দিয়ে সেই রাস্তাই কি প্রশস্ত করে দিলেন ইডি আধিকারিকরা? নাকি এই ইডির এই ডাকাডাকির মধ্যে এবং এই নির্দিষ্ট তারিখে ডাকাডাকির জন্য পেছনে কোনো বড় মাথা কাজ করছে? তাহলে কি সত্যিই সেটিং রয়েছে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির ওপর তলার? গোটা ঘটনা পরম্পরা কিন্তু সেই দিকে ইঙ্গিত করছে। তাছাড়া এত তারিখ থাকতে কেন সেদিনেই ডাকতে হলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে! এতে তো আর কিছু হলো না। এতে তৃণমূল প্রচার করার মত একটা হাতিয়ার পেয়ে গেল। মানুষের মনে তারা এই ধারণা ঢুকিয়ে দিতে সফল হবে যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সত্যিই বিজেপির কথামতো কাজ করছে। আদতে যা একেবারেই ভুল।

কারণ যদি তারা বিজেপির কথা মতোই কাজ করত, তাহলে বঙ্গ বিজেপির নেতারা প্রতি সময় যে রাঘববোয়ালকে গ্রেফতার করার দাবি তুলছেন, তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছেন না ইডি আধিকারিকরা। তাদের ব্যর্থতা প্রতিমুহূর্তে প্রকাশ্যে আসছে। আর এবার যে সেটিংয়ের অভিযোগ সামনে এলো, তা নস্যাৎ করতে কেন্দ্রীয় বিজেপিকে এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেই ময়দানে নামতে হবে বলেই দাবি একাংশের।পর্যবেক্ষকদের মতে, সেটিং যে একটা রয়েছে, তা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে। তা না হলে যে সমস্ত অভিযোগ এক যুবনেতার বিরুদ্ধে রয়েছে, তাতে এতদিনে তার হাজতবাস হওয়ার কথা। কিন্তু তাকে বারবার ডাকা হচ্ছে, আর ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। কোনো পদক্ষেপ তার বিরুদ্ধে নিতে পারছে না কেন্দ্রীয় সংস্থা।

আদালতেও তারা প্রশ্নের মুখে পড়ছে। কিন্তু তারপরও এদের লজ্জা হচ্ছে না। এবার তারা এমন একটা দিনে এমন একটা নোটিশ দিল যে, সেই দিনটা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যারফলে একাংশের মধ্যে এই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি যারা এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে পরিচালনা করে, যে দপ্তর থেকে তারা পরিচালিত হয়, সেই দপ্তরের সঙ্গেই যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, তার একটা গোপন সেটিং রয়েছে! সেই কারণেই বিজেপি কর্মীরা মার খেলেও, তারা নিপীড়নের শিকার হলেও, সেই হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না? তাকে বারবার ডাকাডাকি করেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে! উল্টে এবার তাকে প্রচারের আলোয় নিয়ে চলে এলো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? প্রশ্নটা উঠছে এবং এই প্রশ্ন ক্রমাগত উঠবে, যতক্ষণ না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা স্বচ্ছ হয় এবং তাদের সেটিং না থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!