এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অভিষেকের দরজায় কড়া নাড়লো ইডি, বজ্রাঘাত তৃনমূলে! কোথায় গেলেন মমতা?

অভিষেকের দরজায় কড়া নাড়লো ইডি, বজ্রাঘাত তৃনমূলে! কোথায় গেলেন মমতা?


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে তলব করা হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অতীতের মতো সেবারও তিনি বাইরে বেরিয়ে এসে অনেক বড় বড় কথা বলেছিলেন। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাকে ডেকে বৃথা সময় নষ্ট করছে। তিনি কোনো ঘটনায় জড়িত নন। তার বিরুদ্ধে এক পয়সা নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে তিনি ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে যাবেন। কিন্তু যার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, কেন তাকে বারবার করে তলব করছে একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা? সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে যখন বারবার ঢোক গিলতে হচ্ছে তৃণমূলকে, ঠিক তখনই ফের ইডির নোটিশ পেলেন সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী মাসের 3 তারিখে তাকে ইডি দপ্তরে হাজির হওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর এর ফলে সেই নোটিশ নিয়ে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে গিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।

সূত্রের খবর, কিছুক্ষণ আগেই ইডির তরফে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি নোটিশ দেওয়া হয়। যেখানে জানানো হয়, আগামী 3 অক্টোবর তাকে ইডির দপ্তরে উপস্থিত হতে হবে। মূলত নিয়োগ দুর্নীতির সংক্রান্ত কারণেই এই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কি ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করবে, সেটা তাদের বিষয়। কিন্তু এর আগেও একাধিকবার তাকে ডাকা হয়েছে। তবে এবারের নোটিশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একাংশ বলছেন, ইতিমধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ঢিলেঢালা মনোভাব নিয়ে তাদের আদালতের কাছে ভর্ৎসনার শিকার হতে হয়েছে। তাই এবার তারা কিছুটা অতি তৎপর বলেই মনে করা হচ্ছে। আর এই অতি তৎপরতার কারণেই চিন্তিত হতে শুরু করেছে রাজ্যের শাসকদল।

বিরোধীদের দাবি, যার বিরুদ্ধে এত প্রমাণ রয়েছে, তাকে কেন বাইরে ছেড়ে রাখা হবে! বারবার তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন গোটা রাজ্যের মানুষ। কিন্তু তিনি মাথা উঁচু করে ইডির মুখোমুখি হচ্ছেন, আবার মাথা উঁচু করেই বাইরে বেরিয়ে এসে অনেক বড় বড় কথা বলছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে। আর এত কিছুর পরেও চুপচাপ নীরবতা পালন করছেন ইডির আধিকারিকরা। যার ফলে তাদের ভূমিকা নিয়েও আদালত থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ এমনকি বিরোধীদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে অসন্তোষের আবহ। তাই খুব অল্পদিনের ব্যবধানের মধ্যেই আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই তলব বড় কোনো পদক্ষেপের ইঙ্গিত বলেই আশাবাদী বিরোধী শিবিরের একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, যে 3 তারিখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করা হয়েছে, সেদিন দিল্লিতে তৃণমূলের একটি কর্মসূচি রয়েছে। বাংলার বঞ্চনার প্রতিবাদে সেই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেওয়ার কথা রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ফলে সেই সময় তাকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বোঝাতে চাইলো যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তারা বিন্দুমাত্র হালকা পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা একেবারেই ভিত্তিহীন। কিন্তু তখনই ইডির এই পদক্ষেপ সাফল্যের রূপ নেবে যখন রাঘববোয়ালের বিরুদ্ধে তারা বড় পদক্ষেপ নিতে পারবে। তবে এত দ্রুত আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে তলব গোটা তৃণমূলের চিন্তা দ্বিগুণভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথায় কথায় কেন্দ্রীয় প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলেন, তিনি কেন এই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত মুখ খুলছেন না? কেন বিদেশ থেকে ফেরার পর তিনি কার্যত নীরব? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!