এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রামমন্দিরে বিজেপি ঘুম কারতেই তৃণমূলের নতুন দাবি – পৃথিবীর বৃহত্তম মন্দির তৈরী করেছেন মমতা!

রামমন্দিরে বিজেপি ঘুম কারতেই তৃণমূলের নতুন দাবি – পৃথিবীর বৃহত্তম মন্দির তৈরী করেছেন মমতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অযোধ্যার রাম মন্দিরের ভূমিপূজা এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে। গেরুয়া শিবির এই কারণে এই মুহূর্তে খবরের শিরোনামে। সারা দেশের কৌতুহলী নজর বিজেপির দিকে। তবে এবার লাইমলাইট কেড়ে নিতে তৃণমূল শিবির নিল অন্য পন্থা। যদিও সেই পন্থা যে পুরোপুরি সাকসেস হয়েছে, তা বলা যায় না। বরং বলা ভালো, এক্ষেত্রে উল্টো ফল হয়েছে। কিছু সময় আগে তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর ‘বাংলার গর্ব মমতা’ নামের একটি অভিযান শুরু করেন।

বর্তমানে তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলের পর এবার প্রতিটি জেলা স্তরে একটি করে ফেসবুক পেজ খোলা হচ্ছে। যেখানে প্রতিটি জেলার নামের সাথে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে ‘গর্ব মমতা’ কথাটি। যেমন ‘হুগলি জেলার গর্ব মমতা’ কিংবা ‘বাঁকুড়া জেলার গর্ব মমতা’। একইরকমভাবে দার্জিলিং এর তরফ থেকেও একটি পেজ খোলা হয়েছে তৃণমূলের। এবং নাম দেওয়া হয়েছে ‘দার্জিলিংয়ের গর্ব মমতা’। এবার সেই ফেসবুক পেজে একটি হাস্যকর দাবি করা হয়।

বলা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বুকে বৃহত্তম ইসকন মন্দির তৈরি করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যথারীতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এধরনের দাবির পর অনেকেই কৌতুক শুরু করেছেন। ব্যাপারটি নজরে আসতেই শুরু হয়েছে জোর শোরগোল। বিতর্ক লেগেছে এই কারণে, যে ইসকনের মন্দির তো দূর, দেশের কোন মন্দিরই কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি বা কোন রাজনৈতিক দলের সহায়তায় তৈরি হয়না। ইসকনের ক্ষেত্রে পুরো ব্যাপারটি পরিচালনা করে ব্যক্তিগতভাবে ইসকন সংস্থা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইসকন একটি বেসরকারি এবং স্বাধীন সংগঠন নামে পরিচিত। দেশ বিদেশের ভক্তদের কাছ থেকে টাকা আসে তাঁদের। অন্যদিকে ‘দার্জিলিংয়ের গর্ব মমতা’ পেজটিতে গিয়ে অনেকেই রীতিমতো কৌতুক কটাক্ষ শুরু করেছেন। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এখনো পর্যন্ত রাম মন্দির নিয়ে কোন শুভেচ্ছাবার্তা জানাননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই এবার ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে তৃণমূল এই উদ্ভট দাবি জানাচ্ছে। অন্যদিকে এই ঘটনা সামনে আসার পর রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে জোর সমালোচনা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচন আসছে আর কিছুদিনের মধ্যে। কিন্তু তার আগে যদি এ ধরনের ভ্রান্ত প্রচার করা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে, তাহলে তার খেসারত দিতে হবে তৃণমুলকেই। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এধরনের ভ্রান্ত প্রচার বন্ধ করার দিকে নজর দিতে হবে তাঁদের। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, তৃণমূলের এই ধরনের প্রচারের কারণে জনমানসে তাঁদের হাস্যকর প্রভাব পড়বে। এবার দেখার এধরনের লোক হাসানো মন্তব্যের পর ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে তৃণমূল শিবির কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!