এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কারণে আবহে মমতার মানবিক সিদ্ধান্ত! ঘুম উড়বে প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর? খুশির হাওয়া জনমানসে

কারণে আবহে মমতার মানবিক সিদ্ধান্ত! ঘুম উড়বে প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর? খুশির হাওয়া জনমানসে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা আবহের অনেক আগেই সাধারণ মানুষ প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। অনেকক্ষেত্রেই অভিযোগ ওঠে, প্রাইভেট হাসপাতালগুলির অমানবিকতার বিরুদ্ধে। এমনও দেখা গেছে, মৃতদেহ আটকে রেখে বেসরকারি হাসপাতাল অতিরিক্ত টাকা দাবি করেছে মৃতের পরিবারের কাছ থেকে। ঘটনায় অবশ্য প্রচুর আলোড়ন সৃষ্টি হয় একসময়। কিন্তু সাময়িকভাবে প্রাইভেট হাসপাতালগুলি কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হলেও আবার কিছু সময় পরে পুনরাবস্থায় ফিরে আসে।

বর্তমানে করোনা আবহের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে সুযোগ না পেয়ে অনেক মানুষই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। আর সেক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অতিরিক্ত বিল হয়ে যাচ্ছে রোগীর। যা দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন রোগীর বাড়ির লোকেরা। একের পর এক অভিযোগ উঠে আসছে বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে। এবার সেদিকে নজর দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নতুন নির্দেশিকা জারি করেছেন। বলা হচ্ছে, এবার থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলি করোনা চিকিৎসায় 50 হাজার টাকার বেশি অগ্রিম নিতে পারবেন না।

পাশাপাশি আনুমানিক খরচ কত হতে পারে রোগীর চিকিৎসা ক্ষেত্রে, সেটা আগেই জানিয়ে দিতে হবে রোগীর পরিবারকে। বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ আজকের নয়, বহু দিনের। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে এবার বেসরকারি হাসপাতালগুলো রীতিমতো নিঃস্ব করে তুলছে রোগী এবং তার পরিবারকে। দেখা যাচ্ছে ওষুধের খরচ নামমাত্র হলেও হাসপাতালের বিল হচ্ছে প্রায় লাখখানেকের ওপর। আর এই পরিস্থিতির পরিবর্তন করতেই এবার মুখ্যমন্ত্রী কড়া হাতে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এবার থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে রোগী ভর্তি হওয়ার আগেই পুরো খরচ জানাতে হবে রোগীর পরিবারকে। মোট খরচের কুড়ি শতাংশের বেশি অগ্রিম কোনোভাবেই নেওয়া যাবেনা। রোগীর পরিবারের কাছে টাকা না থাকলে সেক্ষেত্রে 12 ঘন্টা সময় দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এও বলা হচ্ছে কোন পরীক্ষা যদি বারবার করতে হয়, এবং সেই পরীক্ষার খরচ যদি 2000 টাকার বেশি হয় তবে হাসপাতালগুলিকে এবার থেকে লিখিত আকারে জানাতে হবে রোগীর পরিবারের সদস্যদের।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, বেসরকারি হাসপাতালগুলির অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার প্রবণতাকে এবার কড়া হাতে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দমন করতে শুরু করলেন, তাতে আমজনতা যথেষ্ট উপকৃত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে অবশ্য বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে ভোটের ম্যাজিক বলেই বর্ণনা করেছেন। তবে করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে যাতে সাধারণ মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিতে না পারে কেউ, সে ব্যবস্থাই করলেন মুখ্যমন্ত্রী বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!