এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সিবিআইকে বড় প্রোটেকশন জাস্টিস গাঙ্গুলীর! ধরা পড়বে রাঘববোয়াল? মুরোদ দেখতে চায় জনতা!

সিবিআইকে বড় প্রোটেকশন জাস্টিস গাঙ্গুলীর! ধরা পড়বে রাঘববোয়াল? মুরোদ দেখতে চায় জনতা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের ক্ষেত্রে অনেক ভরসা করে সকলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর নির্ভর করতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাদের সেটিং হোক বা গা ঢিলেমি মনোভাব, বারবার ব্যর্থতা প্রকাশে আসছে। যার ফলে বিরোধী দল তো বটেই, এমনকি আদালতের পক্ষ থেকেও ভর্ৎসিত হতে হচ্ছে সিবিআই-ইডিকে। যখন বিভিন্ন পক্ষ থেকে আক্রমণ শিকার হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, তখন তারা যুক্তি দিচ্ছে যে, রাজ্য পুলিশ তাদের তদন্তের অনেক ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করছে। তাদের অনেক আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। যার ফলে তারা তদন্তে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন। কিন্তু এবার সেখানেও সিবিআই এবং সিটকে কার্যত রক্ষাকবচ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে বিচার ব্যবস্থা যখন তদন্তের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এত খোলা হাত দিচ্ছে, তারপরেও যদি এবার সিবিআই পদক্ষেপ নিতে না পারে, তাহলে তাদের চরম ব্যর্থতা প্রকাশ্যে আসবে। অন্তত তেমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত, এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এক ঐতিহাসিক নির্দেশ দেন। যেখানে সিবিআই এবং সিটকে রক্ষাকবচ দিয়ে দেন তিনি। এক্ষেত্রে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে তিনি জানিয়ে দেন, অবিলম্বে এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ক্ষেত্রে কোনোভাবেই সিবিআই এবং সিটের কোন আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে জাস্টিস গাঙ্গুলির এই নির্দেশ দুর্নীতির রহস্যভেদের দিকে যারা তাকিয়ে আছেন, তাদের কাছে অত্যন্ত আশার কারণ। তবে বিচার ব্যবস্থা তো দুর্নীতির রহস্য ভেদ করতে চেষ্টা করছে। কিন্তু আদৌ কি তাতে সদিচ্ছা রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার? তা নিয়ে নানা মহলে উঠছে প্রশ্ন।

একাংশের মতে, যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর এত ভরসা ছিল সকলের, ধীরে ধীরে সেই ভরসা নষ্ট হতে শুরু করেছে। তবে তা ফিরে পাওয়ার মতো জায়গা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা না করতে পারে, তাহলে তাদের দিয়ে আর লাভের লাভ কিছুই হবে না। প্রত্যেকের একটাই দাবি, দুর্নীতির রহস্য ভেদ হোক। আর সেই রহস্য ভেদ করতে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, যে সমস্ত রাঘব বোয়ালরা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাদের ডাকাডাকি বন্ধ করা হোক। এবার তাদের হেফাজতে নিক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু এতদিন সেখানে একটা প্রতিবন্ধকতার সুর শোনা যাচ্ছিল তাদের গলায়। তারা বলতে শুরু করেছিল যে, রাজ্য প্রশাসনের অনেকেই তাদের তদন্তের ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে। তবে এবার সেখানেও সিবিআই এবং সিটকে ময়দান কাঁপিয়ে খেলার সুযোগ দিলেন বিচারপতি। এরপরেও যদি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ঘুম না ভাঙ্গে, তারা যদি একইভাবে ঢিলেঢালা গতিতে শুধু জেরাই চালাতে থাকে, তাহলে সত্যিই আর কিছু বলার নেই।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিচার ব্যবস্থা সত্যিই আন্তরিকভাবে দুর্নীতির রহস্য ভেদ করতে আগ্রহী। যতটা সম্ভব, তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিচারপতি গাঙ্গুলী থেকে শুরু করে বিচারপতি সিনহা, তাদের একের পর এক নির্দেশ রাজ্য সরকারকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু হাতের সামনে সুযোগ পেয়েও সদ্ব্যবহার করতে পারছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাদের শুধু নানা অজুহাত। তবে এবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই এবং সিটকে যে রক্ষাকবচ দিলেন, তার পরেও তারা নাকিকান্না কাঁদবে, নাকি পদক্ষেপ নেবে? আদৌ কি তাদের পদক্ষেপ নেওয়ার মতো মুরোদ হবে? সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজ্যবাসীর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!