এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভাইপোর বিপুল অর্থের উৎস কি? মমতার ঘুম ওড়ালেন জাস্টিস গাঙ্গুলী! বিপাকে ঘাসফুল!

ভাইপোর বিপুল অর্থের উৎস কি? মমতার ঘুম ওড়ালেন জাস্টিস গাঙ্গুলী! বিপাকে ঘাসফুল!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত কেন্দ্রীয় আন্দোলনকারী সংস্থার হাতে দেওয়া থেকে শুরু করে অবৈধ চাকরির রহস্য ফাঁস, সবকিছুতেই কার্যত দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তৃণমূল মুখে বলুক আর না বলুক, তবে তার এই বিচার পদ্ধতি যে তাদের অস্বস্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অনেক তৃণমূল নেতা আবার নাম করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করছেন। আর এর মাঝেই সেই জাস্টিস গাঙ্গুলীর মুখে শোনা গেল ভাইপোর কথা। এদিন একটি মামলা শোনার সময় ভাইপোর বিপুল সম্পত্তি এবং বাড়ি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। আর তাতেই কার্যত ঘুম উড়তে শুরু করেছে রাজ্যের শাসক দলের।

প্রসঙ্গত, করোনার সময় এক শিক্ষক মারা গেলেও, তার স্ত্রী এখনও পর্যন্ত চাকরি পাননি। এমনকি তাদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আর তা নিয়েই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। সেই মামলাতেই এদিন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কে একজন ভাইপো আছেন, চারতলা বাড়ি, কোটি কোটি টাকা। এত টাকা আসে কোথা থেকে? চোলাই মদে মৃত্যু হলে টাকা দেওয়া হয়। করোনাতে মৃত্যু হলে কি আদৌ সেই টাকা দেওয়া হয়?” একাংশ বলছেন, এতদিন দুর্নীতির রহস্য ফাঁস করতে গিয়ে বড় বড় নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। যা তৃনমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু এবার রাজ্য রাজনীতিতে যে ভাইপোর শব্দ নিয়ে সব থেকে বেশি চর্চা শুরু হয়, সেই ভাইপোর কথা বলেই বিচারপতি শোরগোল ফেলে দিলেন।

বিরোধীদের দাবি, যতই বড় বড় সততার কথা বলুন সেই যুবনেতা, তার ধান্দাবাজি সবাই ধরে ফেলেছে। করোনার ক্ষতিপূরণের মামলাতেও এবার সেই ভাইপোর কথা উঠে এলো। যারা নিজেদের সততার প্রতীক বলে দাবি করে, ক্ষমতায় আসার পর তাদের এই বিপুল সম্পত্তির উৎস নিয়ে প্রশ্ন তো থাকবেই। কয়লা, গরু, বালি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সব জায়গা থেকে টাকা তোলেন এই ভাইপো। আর তারা সম্পত্তি বৃদ্ধি করলেও মানুষ তাদের অধিকারের ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠবেই যে, একশ্রেণীর ক্ষমতাশালী লোকের এত বিপুল সম্পত্তির অর্থের উৎস কি? তাই জাস্টিস গাঙ্গুলী ফের ঐতিহাসিক মন্তব্য করে রীতিমত কম্পন ধরিয়ে দিয়েছেন বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শাসকদলের এক যুবনেতা বারবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলবের মুখে পড়েছেন। কিন্তু তিনি বলেন যে, তাকে ডাকতে হবে না, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ থাকলে তিনি ফাঁসির মঞ্চে ঝুলে যাবেন। কিন্তু তারপরেও তাকে যখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তলব করে, তখন তিনি আদালতে গিয়ে রক্ষাকবচ নিয়ে আসেন। তার নাকি এতই বীরত্ব। কিন্তু মুখেই সেই বীরত্ব আটকে থাকে। কাজে তা দেখতে পাওয়া যায় না। বেকার যুবক-যুবতীরা রাস্তায় বসে চোখের জল ফেলছে, তাদের দিকে নজর দেওয়ার ক্ষমতা নেই এই রাজ্যের সরকারের। কিন্তু নিজেদের নেতা, মন্ত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধির নমুনা দেখলে কার্যত চোখ কপালে উঠে যাবে। করোনায় আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মতো ক্ষমতা হয়নি রাজ্য সরকারের। ফলে সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এক মামলায় রীতিমত ভাইপোর কথা বলে তার সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষমতাশালী শাসকের কাল ঘাম ছুটিয়ে দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর বিচারপতি এই মন্তব্যে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও ঘুম উড়তে শুরু করবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত সমালোচক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!