এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ভোকাল টনিকেও কাজ হলনা, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঘুম ওড়াচ্ছে শাসক শিবিরের

ভোকাল টনিকেও কাজ হলনা, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঘুম ওড়াচ্ছে শাসক শিবিরের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ হাতছাড়া হয় রাজ্যের শাসকদলের। সেখানে ঘাঁটি গড়ে গেরুয়া শিবির। আর তাই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ ফিরে পাওয়ার দিকে কড়া নজর দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। যথারীতি উত্তরবঙ্গ জুড়ে শাসকদলের তৎপরতা বেড়েছে। কিন্তু তৃণমূলের তৎপরতা বাড়লেও চিন্তা ধরাচ্ছে দলের অন্দরে বেড়ে চলা ক্রমাগত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে যে তৃণমূল  শিবিরের ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে, সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই কারোর।

এবার জলপাইগুড়ির জেলা কমিটির বৈঠকে আরও একবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আভাস পাওয়া গেল। বুধবার জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর ডাকা প্রথম তৃণমূলের জেলা কমিটির বৈঠক ছিল। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা মোহন বসুকে কিন্ত দেখা যায়নি। তবে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, মোহন বসুকে এই বৈঠকে ডাকাই হয়নি। পাশাপাশি জলপাইগুড়ি জেলা মহিলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভানেত্রী তথা রাজ্য সহ সাধারণ সম্পাদিকা সাগরিকা সেনও এই বৈঠকে আমন্ত্রণ পাননি বলে জানা গেছে।

তবে সাগরিকা সেন কিন্তু বিনা আমন্ত্রণেই বৈঠকে আসেন এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে প্রকাশ্যে কান্নায় ভেঙে পড়েন। যথারীতি তৃণমূল নেত্রীর এই আচরণে রীতিমত হতভম্ব হয়ে যান জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কার্যালয়ের বাইরের পথচারীরা। এরপর অবশ্য নিজেকে সামলে দলীয় কার্যালয় থেকে বেরোনোর সময় সাগরিকা সেন এদিন জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমারী কল্যাণীর বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন। অভিযোগ জানান, তিনি দলে থাকলেও তাঁকে কোনো রকম বৈঠকেই ডাকা হয়না। আর তাই তিনি রাগে-দুঃখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় অস্বস্তির মুখে রাজ্যের শাসক দল। অন্যদিকে জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী জানান, সাগরিকা সেন এখন রাজ্য কমিটিতে রয়েছেন। তাই জেলা কমিটি ইচ্ছা করলেই তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেনা বিভিন্ন বিষয়ে। নিয়ম-শৃঙ্খলা দলের সবাইকেই মানতে হবে। অন্যদিকে মোহন বসুর অনুপস্থিত কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কৃষ্ণকুমার কল্যাণী জানান, অসুস্থতার কারণেই মোহন বসু বৈঠকে উপস্থিত হননি।

তবে জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি যাই বলুন না কেন, রাজনৈতিক মহলে কিন্তু তীব্র সমালোচনা চলছে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে। দলের অন্দরের দ্বন্দ মেটাতে কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গ সফরে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভোকাল টনিক প্রয়োগ করেছিলেন। কার্যত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোকাল টনিকের উপরেই এখন প্রশ্ন উঠছে। তবে কি তৃণমূলের উচ্চপর্যায় থেকে যতই বার্তা আসুক, নিচুতলার কর্মীরা কি ক্রমশ বেঁকে বসেছেন? যথারীতি জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের সুযোগ যে বিরোধীরা নেবে সে কথা বলাই বাহুল্য। এই অবস্থায় তৃণমূলকে সংঘবদ্ধ করতে এবার কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন দলের সুপ্রিমো সে দিকেই নজর থাকবে সবার।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!