প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ যখন ভারতবর্ষে আছড়ে পড়েছে, তখন বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয়েছিল নির্বাচন। বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে শুরু হয়েছিল পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে করোনা বিধি না মানার জন্য দিনকে দিন ভাইরাস আরও বাড়তে শুরু করেছিল বলে অভিযোগ একাংশের।

আর এই পরিস্থিতিতে এবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের রোষানলে পড়ল উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকার এবং নির্বাচন কমিশন। যেখানে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটে করোনা ভাইরাস আটকাতে ঠিক কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল? স্বাভাবিক ভাবেই আদালতের পক্ষ থেকে এই প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়ায় রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, এলাহাবাদ হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এদিন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্য একটি প্রশ্ন করা হয়েছে। যেখানে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে, তিন দফার পঞ্চায়েত ভোটে করোনা ভাইরাসকে আটকাতে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল?

পঞ্চায়েত ভোটে কেন মানা হয়নি করোনা বিধি? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। এক্ষেত্রে যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের জবাবদিহি করেছে আদালত।

পর্যবেক্ষকদের অনেকে বলছেন, নির্বাচনের মধ্যে করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পাওয়ায় জনসমাগম নিয়ে সকলেই চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো যাতে বেশি মিটিং-মিছিল না করে, তার জন্য আবেদন করতে শুরু করেছিলেন সকলেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেখানে মিটিং, মিছিল শুরু হয়। যাকে কেন্দ্র করে বাড়তে শুরু করে ভাইরাসের প্রকোপ।

আর যখন বর্তমানে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, ঠিক তখনই পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়কার কথা তুলে ধরে করোনা ভাইরাস আটকাতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে কার্যত প্রশ্নবানে বিদ্ধ করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। স্বাভাবিক ভাবেই আদালতের পক্ষ থেকে এই প্রশ্ন করায় তার উত্তর হিসেবে নির্বাচন কমিশন কি জবাব দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।