“ভোটের সময় রাজনীতি, এখন কাজের প্রতিযোগিতা হোক” মোদীকে চ্যালেঞ্জ মমতার কলকাতা জাতীয় রাজ্য August 21, 2019 লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারপর্বে দুই দলের দুই হেভিওয়েট নেতা নেত্রী একে অপরকে বিধতে ছাড়েননি। রাজনীতির মসনদে একজন অপরজনকে জোর কটাক্ষও করেছে। তবে নির্বাচনের সময় যাই হোক না কেন, নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে এবার কাজের প্রতিযোগিতা হোক বলে কেন্দ্র সরকারকে বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে সৈকতনগরী দীঘায় নবনির্মিত আন্তর্জাতিকমানের কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেখানেই কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “ভোটের সময় রাজনীতি, এখন শুধু কাজের প্রতিযোগিতা হোক। কেন্দ্র তার মত করে কাজ করুক, রাজ্য তার মত করে কাজ করবে। যে প্রতিযোগিতা সন্ত্রাসের নয়, ভেদাভেদের নয়, দাঙ্গা লাগানোর নয়, দলাদলির নয়। প্রতিযোগিতা হবে কাজের, নির্মাণের, শান্তি প্রতিষ্ঠার।” অন্যদিকে দাঙ্গা বাধালে তার পরিণাম ঠিক কি হতে পারে, তা নিয়ে পরোক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সতর্কও করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “দাঙ্গায় গোলমাল করলে সেন্ট্রালে আপনি আর রাজ্যে আমি সবারই মুখ পুড়বে।” অন্যদিকে এতদিন তার দল তৃণমূল কংগ্রেস সংসদে বিজেপির বিভিন্ন নীতির বিরোধিতা করে আসলেও এদিন দীঘার কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেই তৃণমূল নেত্রীর গলায় শোনা গেল কিছুটা ভিন্ন সুর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তিনি বলেন, “আমি আমার দলকে বলছি পজেটিভ কাজে সাপোর্ট দিতে, আর ধ্বংসাত্মক কাজের বিরোধিতা করতে। আমি ভোরে আজকে হাঁটতে বেরিয়ে ছিলাম। রাস্তায় প্লাস্টিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল, ডাস্টবিনে রাখলাম। মানুষের ভালোর জন্য সব করা যায়। আসুন ধ্বংসাত্মক নয়, আমরা সকলে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করি।” দিকে এদিনের অনুষ্ঠান থেকে তাজপুর বন্দর নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাঁচ বছর ধরে অপেক্ষা করার পর তাজপুর বন্দর এবার রাজ্য নিজেই গড়বে বলে জানিয়ে দেন তিনি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, লোকসভা নির্বাচনে এবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুর চড়ালেও নির্বাচনে সেইভাবে তৃণমূলের সাফল্য মেলেনি। উল্টে বাংলায় বিজেপির প্রভাব বেড়েছে এবং সারা ভারতে বিজেপির সমর্থন আরও বেশি করে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে কিছুটা হলেও আতঙ্কে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাইতো এবার দীঘার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে বেছে নিয়ে কাজের প্রতিযোগিতা হোক বলে কেন্দ্রকে বার্তা দিয়ে কি তার বিজেপি বিরোধীতার সুর কিছুটা নরম করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! তা নিয়েই বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আপনার মতামত জানান -