এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলার রায় নিয়ে সৌগতর উল্টো পথে জ্যোতিপ্রিয়, আইনেই আস্থা রাখার বার্তা!

ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলার রায় নিয়ে সৌগতর উল্টো পথে জ্যোতিপ্রিয়, আইনেই আস্থা রাখার বার্তা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আজ রায়দান করা হয়েছে। যে রায়ের ফলে যথেষ্ট চাপে পড়ে গিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে এই রায়ে যে তিনি খুশি নন, তা জানিয়ে দিয়েছেন তৃনমূলের বর্ষিয়ান সাংসদ সৌগত রায়। যার ফলে মনে করা হচ্ছে, আগামী দিনে কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে রাজ্যের শাসক দল কিংবা রাজ্য সরকার।

তবে সবটাই জল্পনার পর্যায় রয়েছে। তবে সৌগত রায় এই রায়ে খুশি না হলেও, এই ব্যাপারে ভিন্ন সুর শোনা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গলায়। যেখানে আদালত যা বলবে, তা মেনে চলা হবে বলে জানিয়ে দিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট জনপ্রতিনিধির দুই রকম ভিন্ন মন্তব্য নিয়ে এখন রীতিমতো গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে রাজনৈতিক মহলে।

সূত্রের খবর, এদিন এই ব্যাপারে সৌগত রায়ের পথে না হেঁটে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তেমন কোনো মন্তব্য করেননি রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিন তিনি বলেন, “রাজ্যের একজন মন্ত্রী হলেও আমি পেশায় আইনজীবী‌। আদালত যা বলে, তা মেনে চলি। আদালতের নির্দেশ মতো তদন্ত হোক। তাহলেই আসল সত্যি বেরিয়ে আসবে। যখন আদালত অর্ডার দিয়েছে, তখন তার মুখোমুখি হব। বাকিটা দল দেখবে যে, উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে কিনা।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট যে যথেষ্ট পক্ষপাতমূলক, সেই ব্যাপারেও এদিন মন্তব্য করেন রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী। এক্ষেত্রে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দায়িত্বে যারা ছিলেন, তারা বিজেপির লোক বলে অভিযোগ করেন তিনি। অর্থাৎ আদালতের রায় নিয়ে তেমন কোনো মন্তব্য না করলেও, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছিল, তার বিরুদ্ধে মন্তব্য করে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সরব হলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

পর্যবেক্ষকদের মতে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এক্ষেত্রে দ্বৈত কৌশল অবলম্বন করার চেষ্টা করলেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, সেই রিপোর্ট সম্পূর্ণরূপে পক্ষপাতমূলক। বলা বাহুল্য, এই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম উল্লেখ করা ছিল। যার ফলে তিনি অনেকটাই চাপে পড়ে গিয়েছিলেন। আর এদিন আদালতের পক্ষ থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার রায়দান করার পর সেই রায়কে স্বাগত জানিয়ে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে একহাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সতীর্থ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!