প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আফগানিস্থানে। তালিবানদের দখলে চলে গিয়েছে গোটা দেশ। আর এর প্রভাব যে গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পড়বে, তা কার্যত পরিষ্কার। আর এই পরিস্থিতিতে ভারতবর্ষের মাটিতেও আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন নিয়ে নানা চর্চা শুরু হয়েছে। তবে এবার গোটা বিষয়ে একটি মন্তব্য করে কার্যত শোরগোল তুলে দিলেন তৃণমূল নেতা ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে তালিবানি শাসনের তুলনা করতে দেখা গেল তাকে। অর্থাৎ নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে একেবারে রাখঢাক না করে বিজেপিও কি তালিবানের সমতুল্য! এই রকমই এক প্রকার প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতে দেখা গেল এই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাকে। যার ফলে রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নেত্রীরা পা রাখলেই তাদের উপর হামলা করা হচ্ছে এবং তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ঘাসফুল শিবিরের। আর এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্থান যখন তালিবানি শাসন নিয়ে রীতিমতো জেরবার এবং গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তা চর্চা এবং আলোচনার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে, তখন বিজেপির সঙ্গে তালিবানের তুলনা করে কার্যত শোরগোল ফেলে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “আজ সকালবেলা আমরা জানতে পারি, বিজেপি বিধায়ক অরুণ ভৌমিক বিধান দিয়েছেন যে, তালিবানদের মত আক্রমণ চালানোর। কেউ বিমানবন্দরে নামলে তালিবানি কায়দায় সেখানে আক্রমণ চালান। বিজেপির কাছেও কি তালিবানদের মত অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে?”

আর হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যের পরই নানা মহলে শোরগোল তৈরি হয়েছে। ত্রিপুরার ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক আক্রমণ করা যেতেই পারে। কিন্তু যেভাবে বিজেপি বিধায়কের একটি মন্তব্যকে হাতিয়ার করে এই তৃণমূল নেতা বিজেপির সঙ্গে তালিবানদের তুলনা করলেন, তাতে গোটা বিষয়টি রীতিমতো চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বারবার বাংলার মাটিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষন করার অভিযোগ তোলে ভারতীয় জনতা পার্টি। এক্ষেত্রে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানা সমাজ বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ তুলতে দেখা যায় গেরুয়া শিবিরকে।

সেদিক থেকে আফগানিস্তানে তালিবানি শাসনের বিষয়ে অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে মুছে ফেলতে গিয়ে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরার ঘটনা নিয়ে সেই বিজেপির সঙ্গে তালিবানি শাসনের তুলনা করলে নিজের এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়েই কি গেরুয়া শিবিরকে চাপে রাখার চেষ্টা করলেন? ইতিমধ্যেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বাংলার রাজনীতিতে। অনেকে এটাও বলতে শুরু করেছেন, এইভাবে কি কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে আক্রমণ করা যায়? আদৌ কি এটা শোভনীয়? তবে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের বিস্ফোরক মন্তব্য পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা কোন প্রতিক্রিয়া আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।