এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লার সামনেই রণক্ষেত্র ভাঙড়, শাসকদলের চিন্তা বাড়ছে

মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লার সামনেই রণক্ষেত্র ভাঙড়, শাসকদলের চিন্তা বাড়ছে

যতই তৃণমূল নেত্রী হুঁশিয়ারি দিন না কেন ভাঙড় যে বদলাচ্ছে না তা স্বভাবতই স্পষ্ট হয়ে গেলো এদিন। ফের প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। যার জেরে বৈঠক করতে পারলেন না রাজ্যের মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা। মন্ত্রীর সামনেই এই ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই তীব্র জল্পনা ছাড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে যে স্থানীয় তৃণমূল নেতা নাসিরুদ্দিন মোল্লার অফিসেই বুথ মিটিংয়ের কথা ছিল এবং সেখানে স্বয়ং মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লার উপস্থিত থাকবেন। সেইমত সেখানেই যাচ্ছিলেন মন্ত্রী। কিন্তু স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে সেই যাত্রা পথেই, পুলিশ ও মন্ত্রীর সামনেই স্থানীয় এক ঝামেলাকে কেন্দ্র করে একের পর এক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
যদিও কিছুক্ষন পর মন্ত্রী চলে গেলে ঝামেলা মিটে যায়, কিন্তু আবার সন্ধেবেলা নতুন করে রেজ্জাক মোল্লার ঘনিষ্ঠ এক নেতার বাড়িতে ভাঙচুর চালান হয় বলে অভিযোগ। যাতে গুরুতর ভাবে জখম হন রেজ্জাক মোল্লা ঘনিষ্ঠ ওই তৃণমূল নেতা বলে জানান যাচ্ছে। আর এই ঘটনায় অভিযোগের তীর আরেক স্থানীয় তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের দিকে। আক্রান্ত নাসিরুদ্দিন মোল্লা তাঁর বিরোধী-গোষ্ঠীর বলেই পরিচিত। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা নাসিরুদ্দিন মোল্লার অভিযোগ, বুধবার সকাল থেকেই উত্তেজনা শুরু হয়ে যায়। কাইজার আহমেদের অনুগামীরা এই হামলা করে। স্থানীয় সূত্রের খবর, বাঁশ, লাঠি নিয়ে হামলা ও মারামারিতে উভয় শিবিরের প্রায় ১২ জন আহত হয়েছে। ভাঙচুর হয়েছে তিনটি বাড়ি, একাধিক মোটরসাইকেল ও সাইকেল। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে পুলিশের কনভয় নিয়ে মন্ত্রী সেখানে চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিলেন দর্শকের মতন বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় স্তরেই। মন্ত্রীর সামনেই এই হিংসার ঘটনা ঘটলেও তিনি কেন কোনও প্রতিবাদ করেননি তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে শাসকদলের অন্দরেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!