এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ভোট পরবর্তী বাংলার হিংসার তদন্তে আসা কেন্দ্রীয় দল কি পক্ষপাতিত্ব করছে? উঠে গেল বড়সড় প্রশ্ন

ভোট পরবর্তী বাংলার হিংসার তদন্তে আসা কেন্দ্রীয় দল কি পক্ষপাতিত্ব করছে? উঠে গেল বড়সড় প্রশ্ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বাংলায় ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতে না হতেই বিভিন্ন জায়গায় হিংসার খবর সামনে আসতে শুরু করেছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন রাজ্যের রাজ্যপাল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার। পরিস্থিতি এতটাই আয়ত্বের বাইরে চলে যায় যে, শেষপর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল আসে রাজ্যের হিংসার ঘটনার তদারকি করতে।

যেখানে যে সমস্ত জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে, সেখানে পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিনিধি দল। কিন্তু এবার সেই প্রতিনিধি দলের বিরুদ্ধেও উঠল পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিজেপির পক্ষ থেকে ভোটের ফলাফলের পর রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। সেই মত করে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল।

আর তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নেওয়ার 24 ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে উপস্থিত হয় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। যেখানে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন তারা। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, ধনেখালিতে তৃণমূলের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও, সেখানে নিহত তৃনমূল কংগ্রেস কর্মী পরিবারের সঙ্গে দেখাই করেনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই প্রতিনিধি দল। বেছে বেছে বিজেপির পক্ষ থেকে যে সমস্ত জায়গা চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে, সেখানে উপস্থিত হয়েছে এই প্রতিনিধিদল বলে খবর।

যার ফলে রীতিমত প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের ভূমিকা নিয়ে। একাংশের মতে, বিজেপি যেভাবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে পরিচালনা করেছে, সেভাবেই তারা কাজ করেছে। তাই এই গোটা ঘটনা পক্ষপাতমূলক। একাংশ বলছেন, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যে আসার পরেই গোটা বিষয়ে সরব হয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন অন্যান্য ক্ষেত্রে যখন রাজ্যকে বঞ্চিত করা হয়, তখন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসে না! তা নিয়ে প্রশ্ন ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

আর এবার সেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল সম্পর্কে বিমাতৃসুলভ আচারণ এবং পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলতে শুরু করল। যা কেন্দ্রীয় সরকার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।এদিন এই প্রসঙ্গে হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “ধনেখালি থানা এলাকাতে আমাদের দলীয় কর্মী খুন হয়েছেন। সেখানে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল যায়নি। তারা জেলায় ঢোকার পর থেকেই বিজেপির একাধিক নেতাকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরছেন। তাদের দেখানো পথেই হাঁটছেন। এই ঘটনা প্রমাণ করে, কেন্দ্রীয় সরকারি দল নিরপেক্ষ নয়। এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, গোটা ঘটনায় বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছে বলেও সরব হয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। যদিও এই ঘটনাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে ধনেখালির বিজেপি প্রার্থী এবং কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের স্থানীয় গাইড তুষার মজুমদার বলেন, “আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত, ঘরছাড়া। আমরা তাদের কাছেই কেন্দ্রীয় দলকে নিয়ে গিয়েছি।” বিশ্লেষকরা বলছেন, এতদিন বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।

কিন্তু ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিনিধি দল যখন রাজ্যে এসেছে, তখন তাদের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে উঠল পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ। যা তৃনমূলকে যেমন কিছুটা হলেও মাইলেজ পাইয়ে দিল, ঠিক তেমনই বিজেপিকে অস্বস্তির মুখে ফেলে দিল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!