প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হাতে আর মাত্র কিছু মাস বাকি। তারপরে অনুষ্ঠিত হবে বিহার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। ভোটে কে শেষ হাসি হাসবে, তা অবশ্যই দেখার মত বিষয়। তবে এই বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তীব্র তৎপরতা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একে অপরের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে শুরু করেছে। তবে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কিছুদিন আগেই প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত যে মুখ্য হয়ে উঠবেন, তা সত্যিই অনেকেই কল্পনা করতে পারেননি।

সূত্রের খবর, বিহারে বিজেপি একটি পোস্টারে “না ভুলব, না ভুলতে দেব” শীর্ষক প্রচারে প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। যাকে কেন্দ্র করে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।

কিন্তু হঠাৎ করে বিজেপির পোস্টারে সুশান্ত সিং রাজপুতের ছবি কেন? গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গত জুন মাস থেকেই তারা জাস্টিস ফর সুশান্তর জন্য প্রচার করে আসছেন। তাই নির্বাচনের সময়ও তারা এই দাবিকে তুলে ধরবেন। ইতিমধ্যেই বিজেপির পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে নীতীশ কুমারের সরকারকে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

জানা গেছে, সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মীয় বিহারের বিজেপি বিধায়ক নিরজ কুমার। ফলে এই সময় বিজেপি সেই সুশান্ত সিং রাজপুতকে নিয়ে সঠিক বিচারের দাবিতে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে ময়দানে নামায় প্রয়াত এই অভিনেতার ফ্যানরা কিছুটা হলেও বিজেপিকে বেশি করে সমর্থন করবেন বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

যদিও বা বিরোধীরা এই ব্যাপারে রাজনৈতিক রং লাগানো হচ্ছে বলে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। আরজেডির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুশান্ত সিং রাজপুতের মামলায় রাজনৈতিক রঙ লাগানো হচ্ছে। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনা সত্যিই অনভিপ্রেত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিহারে এবার আবার জোটসঙ্গীকে সাথে নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই তার আগে সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যা নিয়ে যখন নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তখন প্রয়াত এই অভিনেতার তদন্তের জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে বিহারের প্রচার সত্যিই অভিনব ব্যাপার। এর ফলে বিজেপি কিছুটা হলেও বাড়তি সমর্থন পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আর বিজেপির পক্ষ থেকে যখন এই প্রচার করা হচ্ছে, ঠিক তখনই পাল্টা সরব হয়ে বিরোধীদের বিজেপিকে আক্রমণ করার ঘটনা নিঃসন্দেহে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসক-বিরোধী তরজাকে ক্রমশ বাড়িয়ে তুলবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।