এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নাড্ডার কনভয়ে হামলা, আজব যুক্তি তৃণমূল সাংসদের, বাড়ছে চাপানউতোর!

নাড্ডার কনভয়ে হামলা, আজব যুক্তি তৃণমূল সাংসদের, বাড়ছে চাপানউতোর!


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সফরকে ঘিরে ইতিমধ্যেই ধুন্দুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি কর্মসূচিতে বিভিন্ন জায়গায় তার কনভয় আটকানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। যেখানে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, শাসক দলের পক্ষ থেকে দুষ্কৃতীরা বিজেপি সভাপতির গাড়ির ওপর হামলা চালিয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই ডায়মন্ডহারবার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংসদীয় এলাকা‌। ফলে সেখানে সভা করতে গেলে বিরোধী দলের সর্বভারতীয় প্রধান নেতাকে কেন এইভাবে আক্রমণের শিকার হতে হবে, এখন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। গোটা ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই পরিস্থিতিতে জেপি নাড্ডার এই সফর নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়ে আজব যুক্তি পেশ করতে দেখা গেল তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে।

যেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্রে যাওয়ার কি দরকার ছিল জেপি নাড্ডার! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেল দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রবীণ তৃণমূল সাংসদের গলায় এই ধরনের বক্তব্য নিয়ে এখন রীতিমত হতচকিত রাজনৈতিক মহল। বস্তুত, এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সফরকে কেন্দ্র করে ডায়মন্ডহারবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। যেখানে বিজেপি সভাপতির কনভয় হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় সহ বিজেপির একাধিক নেতার গাড়ির বেশ কিছু অংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে‌। আর এই বিষয় নিয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে। কেন এভাবে বিরোধী দলের সর্বভারতীয় নেতার ওপর হামলা করা হল!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন সেই ব্যাপারে সৌগত রায় বলেন, “জেপি নাড্ডার কি দরকার ছিল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচন কেন্দ্রে গিয়ে খোঁচানোর? জেপি নাড্ডা তো দেশের রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী নয়। গোটা রাস্তা জুড়ে তার জন্য পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকবে।” আর সৌগত রায়ের এই মন্তব্য নিয়েই এখন তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। অনেকে বলতে শুরু করেছেন, বিজেপির বিভিন্ন নীতির প্রতিবাদে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশ থেকে শুরু করে দিল্লি, বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল সাংসদের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত হতে দেখা যাচ্ছে।

কিন্তু কখনও তাদের সেখানে উপস্থিতি নিয়ে সেই রাজ্যের বিজেপি বা অন্যান্য শাসক দলকে কোনো প্রশ্ন করতে দেখা যায়নি। সেক্ষেত্রে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি রাজ্যে রাজনৈতিক সভা বা কর্মসূচি করতে এলে কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন এই রাজ্যের শাসক দলের নেতারা? বিজেপির দাবি, আসলে রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। তাই সৌগত রায়ের মত নেতাদের মুখ থেকে এই ধরনের মন্তব্য শোনা যাচ্ছে। আসলে তারা প্রতি মুহূর্তে বিজেপিকে ভয় পেতে শুরু করেছে। আর তাই সর্বভারতীয় সভাপতি এলে তিনি কেন একটি নির্দিষ্ট জায়গায় যাবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সৌগত রায়।

যার ফলে রাজনৈতিক মহলে রীতিমত চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অনেকে বলতে শুরু করেছেন, এই ঘটনা থেকেই কার্যত পরিষ্কার যে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া বিরোধীরা সঠিকভাবে রাজনীতি করতে পারবে না। পশ্চিমবঙ্গের সৌগত রায়ের মত নেতার মুখ থেকে একটি বক্তব্যে তা আরও একবার প্রমাণিত হল বলেই দাবি বিশ্লেষকদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!