প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে ডাবল সেঞ্চুরি করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। কিন্তু নন্দীগ্রামের হার এখনো মেনে নিতে পারছে না শাসক দল। একসময় এই নন্দীগ্রাম ছিল তৃণমূলের শক্তিশালী গড়, যার মধ্যমনি ছিল অধিকারী পরিবার। এখন শুভেন্দু অধিকারী সহ অধিকারী পরিবারের অনেকেই যোগদান করেছেন বিজেপিতে। তবে,নন্দীগ্রাম বিধানসভা বিজেপির দখলে এলেও নন্দীগ্রামের পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি গুলি এখনো তৃণমূলের হাতে রয়েছে। এগুলোকে হাতিয়ার করেই নন্দীগ্রামে আবার ঘাস ফুল ফোটাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিয়ে, উন্নত পরিষেবা দিয়ে নন্দীগ্রামের মানুষের মন জয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।

নতুন মন্ত্রিসভা গঠন, মন্ত্রিসভার দপ্তর বন্টন হবার পর নন্দীগ্রামে দ্রুত উন্নয়ন ও সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। উন্নত পরিষেবা দিয়ে জনগণের মন জয় করে নন্দীগ্রাম আসনটি আবার তৃণমূলের অধিকারে আনতে চলছে চেষ্টা। প্রসঙ্গত নন্দীগ্রামের এক নম্বর, দু নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের অধিকার রয়েছে। এই দুই সমিতির অধীনে রয়েছে ১৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েত। যেখানে যথেষ্ট রকম প্রভাব রয়েছে তৃণমূলের। এই পঞ্চায়েতগুলিকে হাতিয়ার করে মানুষের কাছে উন্নয়ন পৌঁছে দিয়ে মানুষের মন জয় করতে চায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল, আর বড়সড় ধাক্কা দিতে চায় গেরুয়া শিবিরকে।

তৃণমূলের এই পরিকল্পনা সম্পর্কে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র জানালেন যে, পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের দ্বারা নন্দীগ্রামের মানুষকে সরকারের নানা সুযোগ-সুবিধা দেয়ার বন্দোবস্ত করা হবে। নন্দীগ্রামের মানুষ যেন সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয়, সে ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তাঁরা। নন্দীগ্রাম আসনে আবার ঘাস ফুল ফোটাতে গেলে উন্নয়নকে পাথেয় করে যে এগোতে হবে, তা স্পষ্ট বুঝতে পেরেছে তৃণমূল।

নন্দীগ্রামে তৃণমূলের পরাজয় কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না রাজ্যের শাসক দল। এবার নন্দীগ্রামে উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের মনজয়ের পরিকল্পনা রয়েছে শাসক দলের। নন্দীগ্রামের মানুষ যাতে সরকারের সমস্ত পরিষেবা পান, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে সরকার। মানুষের মনে যাতে না পাওয়ার ক্ষোভ না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে শাসক দল। আর এভাবেই শুভেন্দু গড়ে আবার ঘাসফুল ফোঁটাবার পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূলের।