এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > ভোটের মুখে জোট জটিলতা! খালি হাতে ফিরলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা, শুরু জল্পনা

ভোটের মুখে জোট জটিলতা! খালি হাতে ফিরলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা, শুরু জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একদিকে যখন রাজ্যের শাসক দল এবং গেরুয়া শিবির যথাযথভাবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে সংগঠন গুছিয়ে নেওয়ার কাজে জোরদার তৎপরতা শুরু করেছে, অন্যদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জোট বেঁধেছে বাম এবং কংগ্রেস শিবির। কিন্তু তা সত্বেও আসন রফা নিয়ে এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়ায় জোটের কপালে যে চিন্তার ভাঁজ, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখেনা। অন্যদিকে বাম-কংগ্রেস জোটের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের। আর সেই নিয়েই মঙ্গলবার ফুরফুরা শরীফে পৌঁছালেন কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান।

কিন্তু আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে আব্দুল মান্নানের দেখাই হলোনা। কারণ, ভোটের কাজে ফুরফুরায় ছিলেননা আব্বাস বলে জানা গিয়েছে। তবে আব্বাস সিদ্দিকী সত্যিই ভোটের কাজে বাইরে ছিলেন নাকি কৌশলে আব্দুল মান্নান এর সঙ্গে বৈঠক এড়িয়ে গেলেন, তা নিয়ে উঠেছে বড়সড় প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, মান্নান সাহেব বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ফিরে গিয়েছেন। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, বাম কংগ্রেস জোট আসন রফা করতে ইতিমধ্যেই তিনবার বৈঠক করে নিয়েছে। কিন্তু তা সত্বেও বেশ কিছু আসনে এখনো জট রয়ে গেছে। সেই জট ছাড়ানোর জন্য আগামী 16 তারিখ বাম এবং কংগ্রেস শিবির বৈঠকে বসবেন বলে জানা যাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, আগামী 15 তারিখ শহরের আসছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তারপরেই বাম এবং কংগ্রেস আসন রফা চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসতে চলেছেন। আর এই বৈঠকে বসার আগেই আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে কংগ্রেস কথাবার্তা পাকা করে নিতে চাইছিল। আর তাই মান্নান সাহেবের আজকে ফুরফুরা শরীফে আগমন। অন্যদিকে জানা গেছে, আব্বাস সিদ্দিকী জোটে সামিল হতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন বাম চেয়ারম্যান বিমান বসুকে। কিন্তু কংগ্রেসকে তিনি কোনো চিঠি দেননি। এই নিয়ে শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন অধীর চৌধুরী। পরিস্থিতি বুঝে নিতেই ফুরফুরা শরীফে এদিন যান বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা।

কিন্তু আব্বাস যেভাবে আব্দুল মান্নানকে আজ এড়িয়ে গেলেন, তা নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ মান্নান সাহেব বলে জানা যাচ্ছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই আব্বাস সিদ্দিকীর প্রতি কংগ্রেসের এই বিরূপ মনোভাব জোটে প্রভাব ফেলতে পারে কিনা সে দিকে রয়েছে নজর। তবে শোনা যাচ্ছে, আব্বাস সিদ্দিকী যতগুলি আসনের দাবি করেছেন, তা নিয়ে বাম কংগ্রেস জোট থেকে ইতিমধ্যেই আপত্তি জানানো হয়েছে। সবমিলিয়ে বাম কংগ্রেস জোট একুশের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ে নামতে তোড়জোড় শুরু করলেও এখনো যে বেশ কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে সে কথা এক বাক্যে মেনে নিচ্ছেন ভোট বিশেষজ্ঞরা।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!