এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাজনীতি ছেড়ে কি পুরোদস্তুর অভিনয়েই ফিরতে চলেছেন শতাব্দী রায়?

রাজনীতি ছেড়ে কি পুরোদস্তুর অভিনয়েই ফিরতে চলেছেন শতাব্দী রায়?


রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জনটা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল যে, বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ‘শীতল’! অভিযোগ বছরখানেক শতাব্দী রায় এলাকায় কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতেই নেই, এমনকী, গত মাস থেকে নাগাড়ে একের পর এক সভায় স্থানীয় মন্ত্রী-বিধায়করা এলেও সাংসদ হিসাবে তাঁর দেখা মেলেনি। যদিও সাংসদ নিজে এসব ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন। কলকাতার এক সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, প্রতি মাসেই আমার কেন্দ্রে যাই। পুজোর পরে বিজয়া সম্মিলনী করেছি। অক্টোবরে রামপুরহাটে আদিবাসীদের ফুটবল খেলাতেও গিয়েছি। গত ৯-১০ নভেম্বর রামপুরহাটে একটি স্কুলের উন্নয়নে টাকা দিলাম। সাঁইথিয়ায় অ্যাম্বুল্যান্স উদ্বোধনে গেলাম। কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিতই যোগাযোগ থাকছে। কারা কেন এ সব বলছেন, জানি না! নানান বাধা এড়িয়ে নিজের মতো করে এলাকায় কাজ করি। সে জন্যই আমি টানা ৮ বছর ধরে সাংসদ বীরভূমে।
কিন্তু তাই যদি হবে, তাহলে যে শতাব্দী রায় একসময় বীরভূমের মতো রুক্ষ জেলায় অভিনয় থেকে নিজেকে কার্যত ‘বিচ্ছিন্ন’ রেখেই নিয়মিত গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষের কাছে পৌঁছেছেন তিনিই আবার ‘যাত্রায়’ ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন কেন? তিনি এখন ‘রাতপরীর রূপকথা’ বলে একটি যাত্রায় অভিনয় করছেন। তাহলে কি তিনিও অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খন্না, মিঠুন চক্রবর্তীদের পথ ধরেই শীঘ্রই রাজনীতিকে ‘টাটা-বাইবাই’ করে আবার পাকাপাকিভাবে অভিনয় জগতে ফিরে যেতে চলেছেন? ওই সংবাদপত্রেই সাংসদ জানিয়েছেন, ‘অভিনয়ের মধ্যে একদমই নেই আমি। খুব ভাল ছবি পাচ্ছি না। যে চরিত্রগুলোর অফার আসছে, পছন্দ হচ্ছে না। শ্বাস নেওয়ার জন্য যাত্রায় ফিরেছি। আগামী ২০ নভেম্বর বীরভূমে যাচ্ছি। সংসদের অধিবেশন আর বীরভূমের কর্মসূচি দেখে নিয়েই যাত্রার সময় বার করছি। বীরভূম আমার কাছে প্রথম অগ্রাধিকার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!