এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > সবংয়ে দাপিয়ে ভোট শাসকদলের, তবুও অন্তর্ঘাতের চোরাস্রোত রহস্য বাড়াচ্ছে

সবংয়ে দাপিয়ে ভোট শাসকদলের, তবুও অন্তর্ঘাতের চোরাস্রোত রহস্য বাড়াচ্ছে

সবং মানেই মানস ভূঁইয়ার গড়, হাতের তালুর মত চেনেন এলাকার ৩৭ টা গ্রাম। আর সেখানে শাসকদলের প্রার্থী তাঁরই স্ত্রী গীতারানি ভূঁইয়া। মাটি কামড়ে পরে থেকে প্রচারে ঝড় তুলতে কোনো কসুরtai বাকি রাখেননি মানস ভূঁইয়া। অন্যদিকে প্রচার পর্ব থেকেই প্রায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না কংগ্রেস বা সিপিআইএমকে। কিন্তু প্রচারে একের পর এক শীর্ষনেতাকে হাজির করিয়ে উপনির্বাচন জমিয়ে দিয়েছিল বিজেপি। সদ্য তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়ে মুকুল রায় হুঙ্কার ছেড়েছিলেন বিজেপি এবার জেতার জন্যই লড়ছে, প্রতিটা মানুষ যাতে নিজেদের ভোট নিজে দিতে পারে সে ব্যবস্থা বিজেপির তরফ থেকে করা হবে। অথচ দিনের শেষে ব্যপি প্রার্থী অন্তরা ভট্টাচার্যই করলেন শাসকদলের লাগামছাড়া ছাপ্পা মারার অভিযোগ। পূর্ব মেদিনীপুর সীমান্ত লাগায়ো সবং ও পিংলার একাধিক অঞ্চলের অন্তত ৫০টি বুথে নাগাড়ে ছাপ্পা মেরেছে শাসকদলের ক্যাডাররা অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে অন্তত ৫০টি বুথে পুনর্নিবাচনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
তাহলে শাসকদলের জয় একপ্রকার নিশ্চিত? সবংয়ে কান পাতলে অবশ্য এতটা নিশ্চিত শোনাচ্ছে না শাসক-শিবিরের গলা। আর তার কারণ যতটা না বিজেপি-হাওয়া, তার চেয়েও বেশি দলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের চোরাস্রোত। আর ভয়টা সেখানেই। যদিও মানসবাবুর গলায় শোনা গেল আশাবাদ, বিরোধীদের দুষে তিনি বলেন, বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস সম্মিলিতভাবে কিছু জায়গায় গোলমালা পাকানোর চেষ্টা করেছে। আশা করছি, সবংয়ের মানুষ ভোট বাক্সে এর যোগ্য জবাব দিয়েছেন। পাল্টা দিয়েছেন বিরোধীরাও, তাঁদের দাবি, তৃণমূলের শত সন্ত্রাসের মাঝেও যেসব এলাকার মানুষ ভোট দিতে সক্ষম হয়েছেন, তারা মানসবাবুর বেইমানির যোগ্য জবাব দিয়েছেন। আর এই ‘বেইমানি’ শব্দটাই আতঙ্কে রাখছে শাসক-শিবিরকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় নেতার কথায়, এতদিন উনি (মানস ভূঁইয়া) সিপিএমকে নিয়ে আমাদের মেরেছেন। তার উপরে দলে এসেই রাজ্যসভার সাংসদ, স্ত্রীকেও প্রার্থী করে দিলেন। আর আমরা কংগ্রেস-সিপিএমের মার খেয়েও এতদিন তৃণমূল করে কি পেলাম? তার উপরে ভোটের আগের রাত্রে মার খেয়েছেন আদি তৃণমূলীরা। স্থানীয় দাপুটে নেতা অমূল্য মাইতি জানিয়েছেন, দলের আদিকাল থেকে দলের সঙ্গে থাকা অন্তত ৪০ টি পরিবারের বাড়ি ভোটের আগের রাত্রে ভাংচুর হয়ে গেছে। স্থানীয় এক তৃণমূল সমর্থক, নাম প্রকাশ করা হবে না এই শর্তে জানিয়েছেন, আদি তৃণমূলীরা বিরোধীদের নয়, মার খেয়েছে নব্য তৃণমূলীদের হাতেই। আর তাই রাগে ফুঁসছেন তাঁরা ‘যোগ্য’ জবাব দেওয়ার। আর তাই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, চুপচাপ ফুলে ছাপ হয়ে যায় নি তো? আর ফুলটা যদি ঘাস না হয়ে পদ্ম হয়ে যায় তাহলে হয়তো দাবার চাল উল্টে যাবে। তাই কি হল সবংয়ে তা জানতে রবিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই বঙ্গবাসীর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!