জম্মু-কাশ্মীরে সরকার ভেঙে বেরিয়ে এলে বিজেপি, লোকসভা নির্বাচনের আগে কোন অঙ্ক মোদী-শাহর? জাতীয় বিশেষ খবর June 19, 2018 জল্পনাটা বাড়ছিলই – অবশেষে তাতে সরকারিভাবে সিলমোহর পরে গেল। জম্মু-কাশ্মীরে পিডিপি সরকারের থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিল বিজেপি। ফলে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন মেহবুবা মুফতি। ঘটনাপ্রবাহ যে দিকে এগোচ্ছে তাতে জম্মু-কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। যেখানে একের পর এক উপনির্বাচনে হার হচ্ছে, জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে একের পর এক পুরোনো শরিক – সেখানে কেন এত বড় সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। বিশেষ করে যখন লোকসভা নির্বাচনের আর এক বছরও দেরি নেই। সরকারিভাবে বিজেপি নেতা র্যাম মাধব জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক যে ঘটনাপ্রবাহ কাশ্মীরে চলছে, তাতে বিজেপি-র পক্ষে পিডিপি সরকারকে সমর্থন জোগানো সম্ভব নয়। কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বাড়ছে, উগ্র আন্দোলনের মাত্রাও বেড়ে চলেছে। কাশ্মীরে মানুষের মৌলিক অধিকারও সুরক্ষিত নয়। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই এমন সুচতুর পদক্ষেপ নিল নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটি। সামনেই অমরনাথ যাত্রা, তার উপরে কাশ্মীর উপত্যকায় গত কয়েক দিনে হিংসাত্মক ঘটনা বাড়ছে। আগুনে ঘি পরে সাংবাদিক সুজাত বুখারির হত্যা এবং সেনা জওয়ানকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায়। গত একমাস ধরে কাশ্মীরে সামরিক অভিযান বন্ধ ছিল, কিন্তু তা সত্ত্বেও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বা জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির থেকে ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। কেন্দ্র সরকার চাইছিল, এবার ফের সামরিক অভিযান শুরু করতে – কেননা লোকসভা নির্বাচনের আগে নিরুপদ্রবে অমরনাথ যাত্রা সম্পন্ন করা জরুরি। কিন্তু এখনই সামরিক অভিযানে সায় দেন নি কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী। ফলে দূরত্ত্বটা বাড়ছিল, এই অবস্থায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলে, কেন্দ্র নিজের মত সামরিক অভিযান চালাতে পারবে। কাশ্মীরে শান্তি ফিরিয়ে এনে নিরুপদ্রবে অমরনাথ যাত্রা সম্পন্ন করতে পারলে লোকসভা নির্বাচনের আগে তা বড় স্বস্তির কারণ হবে গেরুয়া শিবিরের। আর তাই সবমিলিয়ে অনেক ভেবেচিন্তে অঙ্ক কোষেই এতবড় সিদ্ধান্তটা শেষ পর্যন্ত নিয়ে ফেললেন মোদী-শাহ জুটি বলেই ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -