এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লকডাউন তুললেই সংক্ৰমণ ছড়িয়ে পড়ার ভয়! বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা?

লকডাউন তুললেই সংক্ৰমণ ছড়িয়ে পড়ার ভয়! বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা?

করোনা সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছানোর আগের মুহূর্তেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নির্দেশ দেন, দেশজুড়ে লকডাউন এর। নিষেধাজ্ঞা জারি হয় মানুষের ঘরের বাইরে বেরোনোর ওপর, জনসমাবেশ করার ওপর। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যগুলির কাছেও আবেদন জানান লকডাউন বজায় রাখতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, দেশজুড়ে লকডাউন করলেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃতের সংখ্যা।

এই অবস্থায় লকডাউন শেষ হতে চলেছে আগামী 14 ই এপ্রিল। অর্থাৎ হাতে আর মাত্র 7 দিন। এই অবস্থায় লকডাউন কি 14 তারিখ উঠবে? নাকি লকডাউন এর মেয়াদ আরও বাড়বে? এই নিয়ে চলছে চাপানউতোর। এই মুহূর্তে ভারত গোষ্ঠী সংক্রমণের বারুদের স্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে এই সংক্রমণ শুরু হয়ে যেতে পারে ভারতে। এই অবস্থায় একমাত্র হাতিয়ার লকডাউন – এর উপরেই জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে আলোচনায় যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাতে মনে করা হচ্ছে লকডাউন এর মেয়াদ আরো বাড়তে চলেছে।

একইভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার দলীয় অনুষ্ঠানেও এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। যদিও এখনো সরকারিভাবে কোনো ঘোষণা করা হয়নি। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদের একটি বৈঠক হয়, যেখানে আলোচ্য বিষয় ছিল লকডাউন এর মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে কিনা। সূত্রের খবর, বেশিরভাগ মন্ত্রীরাই লকডাউন বজায় রাখার পক্ষেই মত দিয়েছেন। এদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব এর পক্ষ থেকে লকডাউনকে আরো দীর্ঘায়িত করার পক্ষেই মতামত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গত মঙ্গলবার রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গেও মন্ত্রিগোষ্ঠীর একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে আলোচনা হয় লকডাউন যদি বাড়ানো হয়, তাহলে সেই পরিস্থিতি কিভাবে সামলানো হবে তাই নিয়ে। একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও লকডাউন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, লকডাউন প্রত্যাহার করা নিয়ে কোনরকম তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না কেন্দ্রীয় সরকার বলে খবর। ভারত বর্ষ 130 কোটির জনবহুল দেশ। যেখানে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোটিও যথেষ্ট দুর্বল বলে বিবেচিত।

এ প্রসঙ্গে জানা যাচ্ছে ভারতে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে যেখানে জনঘনত্ব 504, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনঘনত্ব 1024 এবং কলকাতায় প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনঘনত্ব 24100। এই অবস্থায় ভারতের হাসপাতালে প্রতি হাজার জন পিছু বেড রাখা রয়েছে 0.50। প্রতি লক্ষে হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার বেড রয়েছে 5.20। আর প্রতি লক্ষে হাসপাতালে ভেন্টিলেটর রয়েছে 3.61। এই দুর্বল স্বাস্থ্য পরিকাঠামোযুক্ত ভারতে লকডাউনই একমাত্র অস্ত্র করোনার সংক্রমণকে আটকে দেওয়ার, বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, লকডাউন তুলে নিলে পরিস্থিতি যদি আরও খারাপ হয়ে যায় ভারতের, তাহলে তার সম্পূর্ণ দায় এসে পড়বে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এই মুহূর্তে পুরো পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে খতিয়ে দেখা হবে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পরিস্থিতি আর তারপরেই লকডাউন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই মুহূর্তে সুরক্ষা ও পরীক্ষা দুদিকেই পিছিয়ে থেকে করোনা প্রতিরোধের মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গোটা দেশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!