আমফান পরবর্তী বাংলায় হুড়মুড়িয়ে বাড়তে পারে করোনা সংক্ৰমণ! ঘুম উড়ছে প্রশাসনের! কলকাতা রাজ্য May 22, 2020 বাংলার বুকে আছড়ে পড়েছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আমফান – যার জেড়ে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলা। পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলী, পূর্ব বর্ধমান সহ একাধিক জেলা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। প্রাণহানি থেকে সম্পদ নষ্ট – সবকিছুতেই এই ঘূর্ণিঝড় চাপিয়ে গেছে আগের সব বিপর্যয়কে! অবস্থা এতটাই গুরুতর যে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছুটে এসেছেন বাংলার পরিস্থিতি দেখতে। কিন্তু আমফানের এই বিপর্যয়ের মাঝেই এবার উঁকি দিচ্ছে নতুন বিপদ। আমফানের ত্রাহিরবের মাঝেই কিছুটা পিছনে চলে গিয়েছিল করোনা নিয়ে দুশ্চিন্তা। কিন্তু করোনা তো এখনও রয়েছে স্বমহিমায়! কোনো প্রতিষেধক না আবিষ্কৃত হাওয়ায় করোনা থেকে বাঁচতে একমাত্র উপায় ছিল সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী হয়ে থাকা। কিন্তু আমফানের জেরে প্রাণ বাঁচাতে বহু মানুষকেই ঠাঁই নিতে হয়েছে ত্রাণ শিবিরে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর ফলেই এবার বাংলায় ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করতে পারে করোনা। কেননা এই ত্রাণশিবিরগুলিতে সামাজিক দূরত্ব কতটা বজায় রাখা গেছে, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের দিকের মানুষের বেশিরভাগেরই কাঁচা বাড়ি। আমফানের দাপটে গুঁড়িয়ে গেছে অনেক ক্ষেত্রেই, তাই এখনই তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। ফলে, ত্রাণশিবিরে কিছুটা গাদাগাদি করেই হয়ত থাকতে হবে। যদিও, একটাই আশার কথা, যেসব অঞ্চলে মানুষকে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিতে হয়েছে, সেখানে করোনা সংক্ৰমণ এখনও সেভাবে ব্যাপকমাত্রায় হয় নি। কিন্তু, প্রশাসনিক কর্তারাই মেনে নিচ্ছেন, ঘূর্ণিঝড়ের দাপট থেকে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া ছিল মানুষ। ফলে, বহু ক্ষেত্রেই মাস্ক ব্যবহার বা সামাজিক দূরত্ব রক্ষার মত বিষয়গুলি রক্ষা করা যায় নি। ফলে আশঙ্কা রয়েই যাচ্ছে যে আমফান পরবর্তী বাংলায় করোনার ভ্রুকুটি আরও তীব্র হয়ে উঠতে পারে। আপনার মতামত জানান -