কুনাল ঘোষ কি আবার স্বমহিমায় ফিরতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসে? বিশেষ খবর রাজ্য October 29, 2017 দলের সঙ্গে মন কষাকষিতে বেশ একঘরে হয়ে পড়েছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ, তথা সাংবাদিক কুনাল ঘোষ। তিনি তাঁর বিভিন্ন লেখায় বারবার অভিযোগ আনেন, দলের মধ্যে বেশ কিছু কাজ হচ্ছে যা তৃণমূলের ঘোষিত নীতির বিরোধী এবং তার বিরুদ্ধেই তাঁর সোচ্চার প্রতিবাদ। এইভাবে দলের অন্দরের বিভিন্ন ঘটনা, বিভিন্ন কথা প্রকাশ্যে আনায় রাজনৈতিকমহলে গুঞ্জন ছড়ায় কুণালবাবু বিজেপির দিকে পা বাড়িয়ে আছেন তাই এইভাবে শাসকদলকে বিব্রত করে যাচ্ছেন। এরপর কুণালবাবুর আমন্ত্রণে তাঁরই পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে নাম না করে তৃণমূলনেত্রীকে আক্রমন শানান মুকুল রায় যার জেরে মুকুলবাবুকে দল থেকে বহিস্কার করে তৃণমূল কংগ্রেস। আগেই দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় সাসপেন্ড ছিলেন কুণালবাবু, এরপরে মুকুলবাবু দল ছাড়ার ঘোষণা করায়, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা দুয়ে-দুয়ে চার করে নেন অতি সহজে। কিন্তু এরপরেই পাল্টে যায় দাবার চাল। কুণালবাবু স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দেন, এরথেকেও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে তিনি গেছেন, তিনি দলের কঠিন সময়ের একজন সৈনিক। কোনো অবস্থাতেই তিনি দল ছাড়ার কথা ভাবেননি, এখনো ভাবছেন না। উল্টে তিনি জানান, তাঁর আজকের অবস্থার জন্য প্রকারান্তরে মুকুলবাবুই দায়ী আর তাই মুকুলবাবুর দেখানো পথে চলা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। শুধু এখানেই থেমে থাকেননি তিনি, এরপর একের পর এক আক্রমন শানাতে থাকেন মুকুলবাবুর বিরুদ্ধে। আর এতেই বোধহয় বরফ গলতে থাকে তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ত্বের। এর আগে সারদাকাণ্ডে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের কয়েকজন অফিসারের বিরুদ্ধে প্রভাবশালীদের আড়াল করার অভিযোগ নিয়ে সিবিআইয়ের কাছে তাঁদের সঙ্গে যৌথ জেরা চান কুণাল বাবু। সত্যিই এই ঘটনা ঘটলে, বিড়ম্বনা বাড়বে শাসকদলের বলায় বাহুল্য। কিন্তু সিবিআই এখন কুণালবাবুকে এই নিয়ে বিস্তারিত জানাতে বললেও, বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তিনি তা এড়িয়ে যাচ্ছেন। কারন হিসাবে দেখাচ্ছেন, বিভিন্ন মামলায় তাঁর হাজিরা দেওয়ার ব্যাপার।কিন্তু রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন উঠে গেছে ক্রমাগত মুকুল বিরোধিতার ‘পুরস্কার’ হিসাবে শাসকদল তাঁকে আবার আন্তরিকভাবে দলে ফেরত চাইছেন আর তাই কুণালবাবুও আর এই নিয়ে এগোতে খুব একটা আগ্রহী নন। যদিও সত্যিই কুণালবাবুর সঙ্গে তাঁর দলের কথা হওয়াতে তিনি পিছিয়ে আসছেন না সত্যি-সত্যিই তিনি মামলার গেরোতে সময় বের করতে পারছেন সেই বিষয়টা প্রিয়বন্ধু বাংলার পক্ষে খাটিয়ে দেখা সম্ভব হয় নি। এই প্রবন্ধ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে লেখা, কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত নয়। এমনকি এই প্রবন্ধ কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যেও রচিত নয়। আপনার মতামত জানান -