এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সুপ্রিম কোর্টের পঞ্চায়েত রায় ‘অপ্রত্যাশিত’, নির্বাচনী ট্রাইবুন্যালে যাওয়ার ভাবনা বিরোধীদের

সুপ্রিম কোর্টের পঞ্চায়েত রায় ‘অপ্রত্যাশিত’, নির্বাচনী ট্রাইবুন্যালে যাওয়ার ভাবনা বিরোধীদের

গত তিনমাসের বেশি সময় ধরে আটকে ছিল রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী প্রার্থীদের ভাগ্য। গতকালই এই ব্যাপারে রায় দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। সূত্রের খবর, এই রায় রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে গেলে কার্যত হতাশা ও বিস্ময়প্রকাশ করেন বিরোধী বাম, কংগ্রেস ও বিজেপি।

এদিন বিচারপতির বক্তব্যের সাথে রায়ের কোনো সঙ্গতিই নেই বলে দাবি করেন বাম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। রায়কে বিস্ময়কর বলে দাবি করে সিপিএমের রবীন দেব বলেন, “এক ছাত্রকে সারাদিন ধরে হাঁটু মুড়ে শাস্তি দেওয়ার পর শিক্ষক তাকে নির্দোষ বলে মুক্তি দিল”। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হাইকোর্টে এই মামলায় নিজের পক্ষে নিজেই সওয়াল করেছিলেন কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী। এদিন সেই রায় সরকারের পক্ষে যাওয়ায় তিনি বলেন, “ভোটে কি হয়েছে তা সবাই জানে। এই সত্যকে কোনোও রায়ে আড়াল করা যাবে না”।

রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে বিরোধীদের প্রার্থী দিতে না দেওয়ার হুমকির অভিযোগ তুলে তৃনমূলের বিরুদ্ধে পথে নেমেছিল বিরোধী। পঞ্চায়েতে ৩৪% আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাসকদল জয়লাভ করায় কোর্টে মামলাও করেন তাঁরা। এদিন সেই মামলার রায় সরকারের পক্ষে যাওয়ায় – বাম, বিজেপি, কংগ্রেসের মত বিরোধীরা বিস্ময় প্রকাশ করে নিয়ে এবার নির্বাচনী ট্রাইবুনালে যাওয়ার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করছে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এই ব্যাপারে যে ৩০ দিনের সময়সীমা দিয়েছে আদালত এদিন সেই কথা উল্লেখ করে ফের এই ব্যাপারে দলীয় আইনজীবীদের সাথে কথা বলে মামলা করার ব্যাপারে দলের চিন্তাভাবনার কথা জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সাধারন সম্পাদক সায়ন্তন বসু। এখন ফের বিরোধীরা যদি এই নির্বাচনী ট্রাইবুন্যালে যায় অথবা ব্যাক্তিগত ভাবে মামলা করে তবে তো আবার এই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী প্রার্থীদের ভবিষ্যত আবারো অন্ধকারই রয়ে যাবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।

আর তাই শাসকদল এখন থেকেই ঘুরিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন – বারবার কোর্টে গিয়ে পঞ্চায়েতের কাজ আটকে এই রাজ্যের মানুষের ক্ষতি করে আদৌ কি কোনো লাভ পাচ্ছে বিরোধীরা? ফলে আবারো ট্রাইবুন্যালে গেলে যে গায়ে ‘উন্নয়ন-বিরোধী’ তকমা পাকাপাকিভাবে লাগানোর জন্য মরিয়া হবে শাসকদল – সেটাই মূলত ভাবাচ্ছে বিরোধীদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!