এবার কি দলনেত্রীর কোপে পড়তে চলেছেন আরেক তৃণমূল সাংসদ জাতীয় বিশেষ খবর রাজ্য December 13, 2017 পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের প্রায় যাবতীয় মামলার ভার সুপ্রিম কোর্টে দায়িত্ত্ব সহকারে পালন করেন ‘দুঁদে’ আইনজীবী হিসাবে পরিচিত তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হাত ধরে রাজ্য সরকারের সাফল্য কম নয়, যার মধ্যে অন্যতম ঐতিহাসিক সিঙ্গুর-রায়। কিন্তু যখন পাহাড়ে বিমল গুরুঙ্গের রাশ কমাতে তাঁকে যত শীঘ্র সম্ভব গ্রেপ্তার করতে মরিয়া রাজ্য সরকার, ঠিক তখনই সুপ্রিম কোর্টে নিজের তো বটেই, সঙ্গে রাজ্য সরকারের ‘মুখ পুড়িয়ে’ বসলেন দীর্ঘদিনের শাসকদলের এই যোদ্ধা। সূত্রের খবর, কল্যানবাবুর ‘উদ্ধত’ আচরণে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা, সঙ্গে পিছিয়ে দেন গুরুঙ্গ মামলার শুনানি। পরবর্তীকালে নিজের ভুল বুঝতে পেরে কল্যানবাবু বিচারপতিদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন, এমনকি জানান দরকার হলে তিনি ওই মামলা থেকেও সরে যাবেন। কিন্তু ততক্ষনে অনেক দেরি হয়ে গেছে, দাপুটে আইনজীবী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শীর্ষ আদালতে মেজাজ দেখতে গিয়ে চূড়ান্ত বিড়ম্বনায় ফেলে দিয়েছেন রাজ্য সরকারকে। এমনিতেই পাহাড় নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে শাসকদল তথা রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে বারবার গোপন ডেরা থেকে অডিও টেপ প্রকাশ করে রাজ্য সরকারের বিড়াম্বনা বাড়িয়েছেন বিমল গুরুঙ্গ। এখন কল্যানবাবুর ‘ভুলে’ রাজ্য সরকারের হাত থেকে বিমল গুরুঙ্গকে অদূর ভবিষ্যতে গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা বিশ বাঁও জলে। আর তাই রাজনৈতিক মহল বিশেষ আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে এই পরিপ্রেক্ষিতে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কল্যানবাবুকে নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেন সেদিকে। কোনো কড়া পদক্ষেপ অচিরেই নেমে আসবে নাকি অতীতের কল্যানবাবুর ‘ভালো কাজ’ এ যাত্রায় তাঁকে রক্ষা করবে – সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -