নির্মম, বর্বর, অগনতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক ও ভ্রষ্ট তৃনমূল সরকারের ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই: যোগী পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজ্য February 6, 2019 কিছুদিন আগেই রাজ্যের উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট এবং উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ সভা করার কথা থাকলেও জেলা প্রশাসন হেলিকপ্টার নামার অনুমতি না দেওয়ায় উত্তরপ্রদেশের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সভা বানচাল হয়ে গিয়েছিল। এমনকি রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই ব্যাপারে ময়দানে নেমে সোচ্চারও হতে দেখা গেছে বিজেপি নেতৃত্বকে। কিন্তু এবার রাজ্য প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই মঙ্গলবার পুরুলিয়ার ভাঙড়ার দলীয় সভা থেকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপির হেভিওয়েট মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। জানা গেছে, এদিন পুরুলিয়ার মফস্বল থানার ভাঙড়ার নবকুঞ্জ মাঠে রাজ্য বিজেপির উদ্যোগে গণতন্ত্র বাঁচাও নামক সভায় উপস্থিত হন যোগী আদিত্যনাথ। প্রশাসন হেলিকপ্টার নামার অনুমতি না দেওয়ায় ঝাড়খন্ডে হেলিকপ্টারে নেমে সড়কপথে পুরুলিয়ায় পৌঁছতে হয় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে। আর এত প্রতিকূলতার মধ্যেও জনসভাতে পৌঁছে রাজ্যের প্রশাসন ও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়ান যোগী আদিত্যনাথ। সূত্রের খবর, এদিনের এই সভায় যোগী আদিত্যনাথ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, পুরুলিয়া জেলা বিজেপির সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। এই সভায় উপস্থিত হয়েই বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের জমিতেই রামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম। কিন্তু বর্তমান বাংলায় একটা বেইমান সরকার চলছে। বাংলার সংস্কৃতিকে এরা ধ্বংস করে দিচ্ছে”। পাশাপাশি বাংলায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যেতে বসেছে বলেও এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন যোগী আদিত্যনাথ। সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর কেন্দ্র বনাম রাজ্যের এই সংঘাত নিয়ে শীর্ষ আদালতের রায় কিছুটা হলেও চাপে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমারকে ‘আপাতত’ গ্রেপ্তার করা যাবে না শর্তে তাঁকে সিবিআই জেরার মুখোমুখি হতে হবে বলে নিজেদের মত জানিয়ে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। আর এই ঘটনাকেই কেন্দ্র করে এবার পুরুলিয়ার সভা থেকে রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দেগে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “সারদার দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এক পুলিশ অফিসারকে বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী ধর্নায় বসেছেন। গণতন্ত্রে এর থেকে লজ্জার আর কি হতে পারে! সুপ্রিমকোর্টকে এর জন্য ধন্যবাদ”। যোগী আদিত্যনাথ আরও বলেন, “এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তো এখন কোর্টের রায় শোনার পর ইউটার্ন নিয়েছেন। তিনি এখন বলছেন যে সিবিআইকে সহযোগিতা করা হবে। সিবিআইকে সত্যিই যদি তিনি সহযোগিতা করতেন তাহলে ধর্নায় বসলেন কেন”? অন্যদিকে বাংলায় দূর্গাপূজো, জন্মাষ্টমী এবং নবরাত্রি উৎসব পালনে শাসকদলের বিধিনিষেধ নিয়েও সোচ্চার হতে দেখা যায় উত্তরপ্রদেশের হেভিওয়েট মুখ্যমন্ত্রীকে। এদিন তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে উত্তরপ্রদেশ ভালো করে সামলাতে বলেছেন। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে তো দুর্গাপুজো, জন্মাষ্টমী, নবরাত্রি পালনে বাধা দেওয়া হয় না”! তিনি আরও বলেন, “গোটা দেশে মোদীজির নেতৃত্বে যখন উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে তখন পশ্চিমবাংলায় তৃণমূলের আমলে গুন্ডারাজ চলছে। অবিলম্বে পশ্চিমবঙ্গের এই বেইমান সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সকলকে পাশে থাকতে হবে”। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় থাকার আর নৈতিক অধিকার নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটা নির্মম, বর্বর, অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক ও ভ্রষ্ট সরকার চলছে। বাংলায় রাজনৈতিক স্বাধীনতা আদায়ের জন্য স্বাধীনতা আন্দোলনের মতোই লড়াই করতে হবে”। আপনার মতামত জানান -