এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের সাধের মহাজোটে ফাটল ধরাতে এবার আসরে নামতে চলেছে বামফ্রন্ট?

তৃণমূলের সাধের মহাজোটে ফাটল ধরাতে এবার আসরে নামতে চলেছে বামফ্রন্ট?

গত ১৯ শে জানুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড সমাবেশে বিজেপি বিরোধিতায় ডাক দিয়ে দেশের প্রায় সমস্ত বিজেপি বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের সেই মঞ্চে হাজির করিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। আর তৃণমূল নেত্রীর এই ব্রিগেড সমাবেশের পরই কিছুটা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বিরোধী মহাজোট বলে দাবি ঘাসফুল শিবিরের। আর এই ব্রিগেড সমাবেশের পর সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়ে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসে পড়েন সেই তৃণমূল নেত্রী।

আর এই ঘটনায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় দেশের তামাম বিজেপি বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন। তবে শুধু রাহুল গান্ধী একা নন স্ট্যালিন থেকে লালু পুত্র তেজস্বী যাদব, কানিমোঝি থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়াল – প্রায় প্রত্যেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনায় বিজেপি বিরোধীতার জন্য সমর্থন জানালে প্রবল অস্বস্তিতে পড়তে দেখা যায় বঙ্গের সিপিএম নেতাদের। বিজেপি বিরোধিতায় তারা জাতীয় স্তরে এক হলেও বাংলায় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুতে সোচ্চার তাঁরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফলে জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিনকে দিন প্রধান মুখ হয়ে ওঠা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতারা। জানা গেছে, সোমবার দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে বাংলার সিপিএম নেতারা দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির কাছে আবেদন করেন যে, তিনি যেন দেশের প্রায় সমস্ত বিজেপি বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের কাছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক স্বেচ্ছাচারিতার কথা তুলে ধরেন। এমনকি বাংলায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে যে ভাবে সন্ত্রাস চলছে তার কথাও যাতে দেশের সমস্ত বিজেপি বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের কাছে তুলে ধরা যায় তার জন্যও সীতারাম ইয়েচুরির কাছে তদবির করেন বঙ্গের আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতারা।

এদিকে দলের বঙ্গ ব্রিগেডের মুখে এহেন সমস্যার কথা শুনে মাঠে নেমে পড়েছেন সেই সীতারাম ইয়েচুরিও। এই ব্যাপার ইতিমধ্যেই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দিল্লিতে কথা হয়েছে তাঁর। এমনকি মঙ্গলবার সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে ফোনে কথা হয় ডিএমকে সুপ্রিমো স্ট্যালিনেরও। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, যেন তেন প্রকারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের বাংলায় ‘কুকীর্তির’ কথা জাতীয় নেতাদের কাছে তুলে ধরতে চায় সিপিএমের বঙ্গ ব্রিগেড। আর তাই সীতারাম ইয়েচুরিকে দিয়েই কাজ সারতে চাইছেন তাঁরা। এখন দেখার সিপিএমের এই তৃণমূল-বিরোধিতা জাতীয় রাজনীতিতে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে শেষ পর্যন্ত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!