এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > 100 দিনের কাজের টাকা অমিল ৩ মাস ধরে, নেই অন্য প্রকল্পও! তৃণমূলের বিরুদ্ধেই তৃণমূলের প্রতিবাদ

100 দিনের কাজের টাকা অমিল ৩ মাস ধরে, নেই অন্য প্রকল্পও! তৃণমূলের বিরুদ্ধেই তৃণমূলের প্রতিবাদ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের প্রকল্প হিসেবে পরিচিত একশো দিনের প্রকল্প। বারবার সারা দেশের মধ্যে এই একশো দিনের প্রকল্প বাংলা প্রথম স্থান অধিকার করেছে বলে দাবি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু এবার সেই একশো দিনের প্রকল্প ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠতে শুরু করল। সূত্রের খবর, এবার এই প্রকল্পের টাকা না পেয়ে পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন হরিরামপুরের বাগিচাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক মহিলা।

অভিযোগ, এই 100 দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা গত তিন মাস ধরে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরের বাগিচাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক মহিলার এখনও পর্যন্ত পাননি‌। তাই দ্রুত যাতে তারা টাকা পান, তার জন্য এখন সেই সমস্ত মহিলারা দাবি জানাতে শুরু করেছেন। একাংশ বলছেন, আদতে তৃণমূলের পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধেই তৃণমূলের একশ্রেণীর প্রতিবাদ। অর্থাৎ এই ঘটনার মূলে রয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে দাবি করছেন একাংশ। এদিন পঞ্চায়েত প্রধানের কথায় তা আরও স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে স্বনির্ভর দলের সদস্যা শেফালী দেবশর্মা বলেন, “বাগিচাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে আমরা 100 দিনের কাজ করেছি। 3 মাস পরেও শতাধিক মহিলা প্রাপ্য টাকা পাচ্ছি না। প্রধান কেন আমাদের টাকা আটকে রেখেছেন, তার জবাব নেওয়ার জন্য আমরা এসেছি। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তোলা হচ্ছে। তার পরেও কোনো সুবিধা আমরা পাচ্ছি না।” যদিও বা শেফালীদেবীর তোলা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে দিয়েছেন বাগিচাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গুলজার রহমান।

এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “100 দিনের কাজ করে টাকা পাননি। এমন কেউ নেই এমন কোনো অভিযোগ আমার কাছে জমা পড়েনি। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য যাতে কেউ কাউকে কোনো টাকা না দেন, সেজন্য আমি নিজে মাইকিং করেছি এলাকায়। তার পরেও যদি উপভোক্তারা কাউকে টাকা দিয়ে থাকেন, তার দায় প্রধানের নয়। আমার কাছে অভিযোগ এলে তদন্ত করে দেখব। আমাদের দলের পঞ্চায়েত সদস্য শচীন জয়সওয়াল এসবে ইন্ধন দিচ্ছেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীদের হাত ধরে দলের ভাবমূর্তি তলানিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

তাহলে কি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তার ফলে প্রধানের তোলা অভিযোগে তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠছে? তাহলে কি এই গোটা ঘটনায় তৃণমূলের একশ্রেণীর অপর শ্রেণীর দিকে অভিযোগ তুলছে? যার ফলে বাড়তে শুরু করেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? প্রধানের তোলা অভিযোগ কতটা সত্যি? এদিন এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্য শচীন জয়সওয়াল বলেন, “আমার জন্য না, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে এই ধরনের কাজ চলায়। প্রধান উপপ্রধানের বিরুদ্ধে এলাকার লোকজন অভিযোগ তুলছেন। বিষয়টি দলকে জানিয়েছি।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 100 দিনের কাজের টাকা না পাওয়া বা অনিয়ম, এই সমস্ত বিষয়ে এতদিন বিরোধীদের পক্ষ থেকে তৃণমূলকে কোণঠাসা করার প্রক্রিয়া দেখা যেত। কিন্তু এবার যেভাবে গোটা ঘটনায় তৃণমূলের একশ্রেণী অপরের দিকে বিক্ষোভের জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করলেন, তাতে শাসকদলের অস্বস্তি আরও বাড়ল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, বিরোধীরা এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের অস্বস্তি কতটা বাড়িয়ে দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!