BREAKING NEWS – ১৩ জন তৃণমূলী মন্ত্রী বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন! সামনে এল বিস্ফোরক দাবী কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য May 28, 2020 করোনা আতঙ্কের মধ্যেই গোটা বাংলাকে কার্যত লন্ডভন্ড করে দিয়েছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আমপান। নিজেদের জীবদ্দশায় এত ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বাংলার বুকে কেউ দেখেছেন বলে মনে করতে পারছেন না! আর এবার সেই আবহেই বাংলার রাজনৈতিক আকাশে উঠল আরও বড় ঝড়। বিস্ফোরক এক দাবী নিয়ে রাজ্য-রাজনীতিকে কার্যত উথালপাতাল করে দিলেন প্রখ্যাত সাংবাদিক তথা কংগ্রেস নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ময়বাবু নিজের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ‘বাংলার বার্তা’য় এক প্রতিবেদনে স্পষ্ট জানিয়েছেন, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তত ১৩ জন মন্ত্রীর সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের যোগযোগ চলছে খুব ঘনিষ্ঠভাবে এবং খুব শীঘ্রই হয়ত এই ১৩ জন মন্ত্রী নিজেদের দলবল নিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন। এই ১৩ জনের মধ্যে অন্যতম হলে মন্ত্রী সাধন পান্ডে। সাধনবাবুর সঙ্গেও বিজেপির কথাবার্তা অনেক দূর এগিয়েছে বলে সন্ময়বাবু দাবি করেছেন। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আমপানের দাপটে কলকাতা লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর – দীর্ঘ সময় ধরে কলকাতাবাসী পানীয় জল ও বিদ্যুৎ পান নি। তখনই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল, রাজ্যের রাজধানী তথা দেশের অন্যতম মেট্রো শহরের এই অবস্থা হলে, গোটা বাংলার চিত্রটা ঠিক কতটা ভয়ঙ্কর! বিরোধীরা এর পিছনে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে সরব হতে থাকেন। যদিও রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের তরফে জানানো হয় – এত বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলেই এই অবস্থা। এই সময়ে কোনো রাজনীতি না করতেও মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু, এরপরেই তাঁরই মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সাধন পান্ডে কলকাতা পুরসভার প্রস্তুতির অভাব ও ব্যর্থতা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন প্রকাশ্যেই। যা স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকারকে তীব্র অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। সাধনবাবুর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই বিবৃতি দেন মমতা-মন্ত্রীসভার আরেক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তথা কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। এমনকি সাধনবাবুকে শোকজ করেন তৃণমূলের হেভিওয়েট সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই সাংবাদিক সন্ময়বাবু দাবি করলেন – তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তত ১৩ জন মন্ত্রী বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। স্বাভাবিকভাবেই সন্ময়বাবুর এই দাবীর পরে রীতিমত শোরগোল পরে গেছে রাজ্য-রাজনীতিতে। যদিও এই খবরের সত্যতা বা সূত্র সম্পর্কে ওই ইউটিউব চ্যানেলে কিছু বলা নেই, প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফেও এই খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি। এই প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে ওই ইউটিউব প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে করা, কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়। আপনার মতামত জানান -