১৮ বিধায়কের ভাগ্য ঝুলে ‘তৃতীয়’ বিচারকের উপর – শোরগোল জাতীয় রাজনীতিতে জাতীয় June 15, 2018 সম্প্রতি গত সেপ্টেম্বরে তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রীকে পলানীস্বামীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেছিলো ১৮ জন বিধায়ক। তারপর ১৮ সেপ্টেম্বর নাগাধ এআইএডিএমকের চিফ হুইপ এ রাজেন্দ্রন দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ এনেছিলেন ওই ১৮ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের জেরে স্পিকার ওই বিধায়কদের তাঁদের দায়িত্ব থেকে অবিলম্বে অপসারণ করেন। এরপরই ক্ষুব্ধ বিধায়করা নিজেদের জায়গা ফিরে পেতে মামলা করেন হাইকোর্টে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এরপরই তৈরি হয় সমস্যা। তাঁদের রায় নিয়ে দুই বিচারপতি দুরকমের নির্দেশ দেন। একদিকে প্রধান বিচাররপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই বিধায়কদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তের উপর শীলমোহর দেন অন্যদিকে বিচারপতি এম সুন্দর সেই বরখাস্তের আদেশই বাতিল করে দেন। এই দীর্ঘ টানাপোড়নে বিধায়কদের রায় আটকে যায়। ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় যুক্তি দেখান যে, বিধানভার স্পিকার পি ধানপাল যথার্থ কারণ দেখিয়েই বরখাস্ত করেছেন বিধায়কদের। সে অধিকার তার আছে। এ বিষয়ে আদালতের নাকগলানোর কোনো মানে হয়না। অন্যদিকে এম সুন্দর আবার এ আদেশ খারিজ করে দেন। এর জেরে বিদ্রোহী বিধায়করা ক্ষুব্ধ হয়ে ডিএমকের সঙ্গে সন্ধি করে মুখ্যমন্ত্রীকে কুর্সি থেকে সরিয়ে দিতে পারেন বলেও আশঙ্কা করা হয়। প্রসঙ্গত, কোর্ট হেয়ারিং এ ৫ মাস কেটে গেলেও কোনোরকম সিন্ধান্তে পৌছাতে পারে না মাদ্রাজ হাইকোর্ট। এভাবে বিচারপতিদের দ্বিচারী রায়ের জেরে আপাতত ভূমিকাহীন অবস্থায় রয়েছেন তাঁরা। জানা গেছে, বিধানসভার ৪ টি অধিবেশনে উপস্থিতও থাকতে পারেননি ওই বিধায়করা। তবে এবার তাঁদের ভাগ্য নির্ধারন হতে চলেছে। এবার তাঁদের দায়িত্ব গিয়ে পড়েছে তৃতীয় বিচারপতি হুলুভাডি জি রমেশের উপর। তাঁর রায়ের দিকেই তাকিয়ে আছে ১৮ জন বিধায়ক। আশা করা হচ্ছে, হুলুভাডি জি রমেশের নির্দেশেই এ সমস্যার জট খুলতে চলেছে। আপনার মতামত জানান -